গত মাসে দুটি ম্যাচে জেতার পর ব্রাজিল দারুণ ফর্মে ফেরার আভাস দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার তারা ভেনেজুয়েলার মাঠে এগিয়ে গিয়েও টানা তিন জয়ের আশা জাগায়। কিন্তু সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি দরিভাল জুনিয়রের দল। রাফিনহার গোলে এগিয়ে দিলেও ব্রাজিল অল্প সময়ে গোল হজম করে। সুযোগ ছিল ফের লিড নেওয়ার। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হোন।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল ভেনেজুয়েলার মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে। রাফিনহা প্রথমার্ধে এগিয়ে গেলে ব্যবধান ধরে রাখতে পারেনি তারা। তেলোস্কা সেগোভিয়া বিরতির কিছুক্ষণ পর গোল শোধ দেন।
অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিল চিলির মাঠে ২-১ গোলে জেতার পর পেরুকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষেও আক্রমণাত্মক শুরু করে তারা।
নবম মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পায় ব্রাজিল। নিজেদের প্রান্তে ভেনেজুয়েলা বল হারালে বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারকে কাটিয়ে কাটব্যাক করেন ভিনিসিয়ুস। ভালো জায়গায় বল পেয়েও বাইরে পাঠান রাফিনহা।
২২তম মিনিটে সাভিনহোর থ্রু পাস বক্সে পেয়ে ভিনিসিয়ুস পোস্টে বল মারেন। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া গারসনের ফিরতি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান কিপার।
কয়েকটি দারুণ সুযোগ নষ্ট হওয়ার পর ব্রাজিল এগিয়ে যায় ৪৩তম মিনিটে। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া রাফিনহার শটে দূরের পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে বল জাল খুঁজে পায়।
বিরতি থেকে ফেরার ৩৮ সেকেন্ডে সতীর্থের কাটব্যাকে বক্সের মুখ থেকে শট নিয়ে জাল কাঁপান তেলোস্কা।
ব্রাজিল লিড নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল। বক্সের মধ্যে ভেনেজুয়েলা কিপার রাফায়েল রোমো ফাউল করেন ভিনিসিয়ুসকে। রেফারি ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশিন বাজান। ৬২তম মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের দুর্বল শট ফিরিয়ে দেন কিপার। তার নেওয়া ফিরতি শটও লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হয়।
৮৯তম মিনিটে আলেক্সান্দার গঞ্জালেস ফাউল করেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিকে। প্রতিবাদ জানাতে ছুটে যান ভিনিসিয়ুস। তাকেও আঘাত করে লাল কার্ড দেখেন গঞ্জালেস।
১১ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে গেছে ব্রাজিল। ১২ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে ভেনেজুয়েলা। টেবিলের সেরা ছয় দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে।