প্রধান খবররাজনীতি

ব্যর্থ হাসিনার সকল ষড়যন্ত্র! বর্তমানে রাজনীতির সিংহাসনে খালেদা

ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৭ বছরের শাসনামলে নানা ভাবে নির্যাতিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বাড়ি ছাড়া হওয়া, বাসভবনে অবরুদ্ধ থাকা, নানা হয়রানিমূলক মামলা ও কারাভোগ ছিলো এর মধ্যে অন্যতম। এতকিছুর পরেও বর্তমানে রাজনীতির সিংহাসনে রয়েছেন বেগম জিয়া। ব্যর্থ হয়েছে হাসিনার সকল ষড়যন্ত্র।

যার সর্বশেষ প্রমাণ দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে। সেখানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান।

দীর্ঘ বারো বছর পর ক্যান্টনমেন্ট আর ৬ বছর পর জনসম্মুখে এসে অঘোষিতভাবে সকলের মধ্যমণি হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়া। এমনকি অনুষ্ঠানে যোগদানের সুযোগ পাওয়ায় আনন্দ ও গর্ববোধ হওয়ার কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বিএনপি চেয়ারপারসন এই পরিবর্তিত পরিস্থিতেও আছেন সমান প্রাসঙ্গিক। দেশের রাজনীতির বর্তমান মেরুকরণে খালেদা জিয়ার গুরুত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এক্ষেত্রে তার ব্যক্তি ইমেজ ও প্রভাবক হয়েছে।

আওয়ামীলীগ সরকার তাকে সেনানিবাসের বাসা থেকে অপমানজনকভাবে বিদায় করে দেয়। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর গুলশানের বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখে। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি তার গুলশানের কার্যালয়ের দুই পাশে বালু বোঝাই ট্রাক রেখে তাকে কার্যত গৃহবন্দী করে। প্রতিহিংসার আগুনে পুরে এরপরও তিনি আপোষ করেননি। যে সব কারণে এখনো তিনি রাজনীতির সিংহাসনে।

অপরদিকে রাজনৈতিক কূটকৌশলে প্রতিনিয়ত শেখ হাসিনা ও তার দল বেগম জিয়ার প্রাসঙ্গিকতা মুছে দিতে চাইলেও ঘটেছে উল্টো ঘটনা। হাসিনা নিজেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিন্দিত চরিত্রে পরিণত হয়েছেন। তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে একাধিক। অর্থাৎ তার সকল ষড়যন্ত্রই ব্যর্থ হয়েছে। সূত্র: জনকন্ঠ

এই বিভাগের অন্য খবর

এছাড়াও দেখুন
Close
Back to top button