বগুড়ায় নিবন্ধনহীন সার তৈরি: একটিতে জরিমানা, অপরটি সিলগালা
নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ার শাজাহানপুরে অনিবন্ধিত সার তৈরি ও প্যাকেটজাত করার অপরাধে একটি কারখানায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। একই অপরাধে অপর আরেকটি কারখানা সিলগালা ও সার জব্দ করা হয়।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে এসব বিষয় জানান শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনা খাতুন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার মাঝিড়া ও আশেকপুর ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিয়ান মুনসিফ।
জরিমানাদানকারী হলেন মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর এলাকার ফটকি ব্রিজ সংলগ্ন এগ্রোক্যাম্প ফার্টিলাইজারের মালিক মো. নাহিদ ইসলাম। আর সিলগালা হওয়া প্রতিষ্ঠানের নাম আশেকপুর ইউনিয়নের রানীরহাট জোড়া বটতলা এলাকায় কনফিডেন্স এগ্রিকালচার ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট লিমিটেড।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনা খাতুন জানান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা হয়। অভিযানে সাজাপুরস্থ এগ্রোক্যাম্প ফার্টিলাইজারে গিয়ে ছয়টি পন্য তৈরি ও বিক্রি করার প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে যৌথবাহিনী নথি ঘেটে দেখতে জানতে পারে প্রতিষ্ঠানটির চারটি সার তৈরির নিবন্ধন আছে।
এ জন্য নিবন্ধনবিহীনভাবে স্কয়ার জিপসাম (ক্যালসিয়াম-২৩, সালফার-১৭) ও শক্তিরুট প্যাকেটজাত করার অপরাধে সার ব্যবস্থাপনা আইন- ২০০৬ ধারা ৮। (১) অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে ওই সার জব্দ করা হয় বলে জানান আমিনা খাতুন।
এ ছাড়া রানীরহাট এলাকার কনফিডেন্স এগ্রিকালচার ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট লিমিটেডে অনুমোদনহীন কয়েকটি কোম্পানির পণ্য, মোড়ক, লেভেল ও কাঁচামাল পাওয়া গেছে জানান শাজাহানপুরের কৃষি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তবে কাউকে না পাওয়ায় সার জব্দ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। আর কারখানাটি সিলগালা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এই প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে পরে ব্যবস্থা নিবেন ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিয়ান মুনসীফ বলেন, দুটো প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন আছে। তবে এগ্রোক্যাম্প ফার্টিলাইজারে দুটি নিবন্ধনহীন পন্য পাওয়া যায়। এ জন্য তাদের নিয়ম অনুযায়ী জরিমানা করা হয়েছে। আর কনফিডেন্স এগ্রিকালচার ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট লিমিটেডে অনেকগুলো অনুমোদিত প্যাকেট পেয়েছি। সারগুলো ভেজাল কিনা তা বোঝার উপায় নেই। এ জন্য পরীক্ষাগারে যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে।
রাত পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের কাউকে না পাওয়ায় বক্তব্য নিতে পারিনি। পরে সিলগালা করা হয়েছে। পরবর্তীতে যাচাইয়ে অনিয়ম পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।