প্রধান খবরশিক্ষা

ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ

রাজধানীর ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) প্রায় ৭০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি করেছে রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে গিয়ে এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কলেজটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তুলে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ওবায়দুল্লাহ নয়ন বলেন, গত ১৮ নভেম্বর ভুল চিকিৎসার কারণে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের ২০২৪ সালে এইসএসসি পাশ করা এক শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যু হয়। শিক্ষার্থীরা তখন প্রতিবাদ করতে গেলে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। এরপর আমরা নোটিশ দিয়ে কোন রকমের সভা সমাবেশ করতে নিষেধ করি। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীদের আহত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এরপর ঘটনা আরো তীব্র হয়। আমরা গতকাল জানতে পারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছে ডিএমআরসি কলেজ গুড়িয়ে দিবে। সেই ঘটনাই তারা ঘটিয়েছে।

এরপর কান্নায় েভেঙে পড়েন তিনি। পরে কান্না সামাল দিয়ে বলেন, রাজধানীর টপ টেন কলেজের একটি মোল্লা কলেজ। এই কলেজটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করবে ভাবতেও পারিনি। শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে আমরা ভাবিনি। আমাদের সব ধবংস করে দিয়েছে।  দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কুচক্রী মহল কাজ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা আমরা চাই না।

তিনি আরও েবলেন, শিক্ষার্থীদের হামলায় আমাদের ১২তলা ভবনের কোনো কাঁচ আর অক্ষত নেই। ৫টি লিফট, কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট, ৩০০ এর উপরে ফ্যান, প্রায় ৩০টির মতো ল্যাপটপ, অসংখ্যা কম্পিউটারসহ মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস লুট করেছে। এতে করে প্রায় ৬০-৭০ কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে।

হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখেনি বলেও অভিযোগ করেন ডিএমআরসি অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, সকাল থেকেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় তারা দূরে থেকে পরিস্থিতি দেখেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button