বগুড়ায় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক অধ্যক্ষ ঝুনুর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনু মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় বগুড়া থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শাহাদত আলম ঝুনু পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের পাশাপাশি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
তার হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা ছিল। গত (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার ভাটকান্দি এলাকায় ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছিল জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর থেকে তিনি বগুড়া কারাগারে ছিলেন।
শাহাদত আলম ঝুনুর মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা কারাগারের জেল সুপার ফারুক আহমেদ। জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার ঝুনু গোসল করে ফেরার পথে পরে যান। সম্ভবত তিনি স্ট্রোক করেছিলেন। তিনি পরে যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
পরে বিকেল ৪ টার দিকে বগুড়া থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় নেয়ার পথে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তাকে সিরাজগঞ্জ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
জেল সুপার বলেন, সেখানে তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি তার সেখানেই আছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে বগুড়ায় নিয়ে আসা হবে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বগুড়ায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ আগস্টের পর ঝুনুর বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা মামলাসহ ৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় ঝুনুকে গত ২৫ আগস্ট রাতে তিনি বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করে। এর কয়েকদিন আগে ১০ আগস্ট রাতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন শাহাদত আলম ঝুনু।