প্রতিবন্ধী দিবস আজ
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ৩৩তম আন্তর্জাতিক এবং ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ, বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ।’ প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতার প্রসার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদা সমুন্নতকরণ, অধিকার সুরক্ষা এবং উন্নতি সাধন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার মিরপুর-১৪-এ অবস্থিত জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের উপস্থিত থাকার কথা।
অন্যদিকে সোমবার ৩৩তম আন্তর্জাতিক ও ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেক ক্যাসলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কারিতাস বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, এডিডি ইন্টারন্যাশনাল এবং সিবিএম গ্লোবাল ডিসঅ্যাবিলিটি ইনক্লুশন বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় ডিজঅ্যাবল্ড চাইল্ড ফাউন্ডেশনের (ডিসিএফ) উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নেতৃত্ব জোরদার করা এখন সময়ের দাবি। তাদের নেতৃত্ব শুধু নিজেদের উন্নয়নের জন্য নয়, সুযোগ পেলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারেন।
তারা বলেন, শুধু সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নয়, প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে তাদের কর্মবণ্টন বিধিতে প্রতিবন্ধিতার বিষয়টি নিয়ে আসতে হবে। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে। এই কাজে ওপিডিগুলো রিসোর্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে পারে। এখন এ-সংক্রান্ত নীতিমালা ও ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ জরুরি।