শেষ হলো এমফোরসি প্রকল্প, এখন থেকে কাজ করবে বগুড়ার আরডিএ
নিজস্ব প্রতিবেদক: চর অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করা প্রকল্প মেকিং মার্কেটস ওয়ার্ক ফর দ্যা চরস (এম-ফোর-সি) নিয়ে এখন থেকে কাজ করবে বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ)।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে দীর্ঘমেয়াদী এই চর উন্নয়ন পরিকল্পনাটি আরডিএর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ উপলক্ষে আরডিএতে দুই দিনব্যাপী ‘ভবিষ্যতের জন্য অভিযোজন: চর অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজিত হয়। এতে আরডিএর চর ডেভেলপমেন্ট এন্ড রিসার্চ সেন্টারের (সিডিআরসি) কাছে হস্তান্তর করে সুইসকন্ট্যাক্ট নামে বিদেশি সংস্থা।
এর আগে ২০১১ সাল থেকে দেশে মেকিং মার্কেটস ওয়ার্ক ফর দ্যা চরস (এম-ফোর-সি) নামে প্রকল্পটি চর অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করে এসেছে। এখন থেকে সরকারিভাবে কাজটি চলমান থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরডিএ-এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. এ. কে. এম. ওয়ালী উল্লাহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ড. সৈয়দা জিনিয়া রশিদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আরডিএ-এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চর উদ্যোক্তা, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা, গবেষক, নীতিনির্ধারক এবং আরডিএ ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে চর অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য প্রাণিসম্পদ ইনপুট ও বাজার প্রবণতা, চর অর্থনৈতিক পথ: অংশীদারিত্ব ও অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে অ্যাক্সেস তৈরি, (এম-ফোর-সি)-এর সিডিআরসিতে সংযুক্তি ও দীর্ঘমেয়াদী চর উন্নয়ন পরিকল্পনার হস্তান্তর বিষয়টি প্রাধান্য পায়। এতে (এম-ফোর-সি)-এর বিভিন্ন উদ্যোগ ও সাফল্য প্রদর্শিত হয়।
মেকিং মার্কেটস ওয়ার্ক ফর দ্যা চরস (এম-ফোর-সি) প্রকল্প
সুইজারল্যান্ড সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২০১১ সাল থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে এমফোরসি প্রকল্প। প্রকল্পটি সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) বগুড়ার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে।
প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষি বাজার ব্যবস্থা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে নির্ধারিত চর সমূহের দরিদ্র পরিবারের আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্রতা ও বিপদাপন্নতা হ্রাস করা। এই লক্ষ্যে এম-ফোর-সি শীর্ষক প্রকল্পটি দেশের দক্ষিণ ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জুলাই ২০২০ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত ৬টি জেলার (গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, জামালপুর ও শরিয়তপুর) নতুন এলাকার চরাঞ্চলের চরবাসীদের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতি, বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধার হওয়ার বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করায় কাজ করছে।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটির প্রথম পর্যায় মে ২০১৩ হতে ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সমাপ্ত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ১,২৪,০০০ চর পরিবার উপকৃত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সুইসকনট্যাক্ট, সুইস ফাউন্ডেশন ফর টেকনিক্যাল কো-অপারেশন একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থা, যার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ-এ অবস্থিত। সংস্থাটি ১৯৫৯ সালে সুইস প্রাইভেট সেক্টর ও সুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের তত্ত্বাবধায়নে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি একচেটিয়াভাবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সাথে জড়িত এবং ১৯৬১ সাল থেকে কার্যক্রম ও প্রকল্পগুলো পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অধীনে সুইসকনট্যাক্ট একটি আইএনজিও হিসাবে নিবন্ধিত।