ক্যাম্পাসবিশ্ববিদ্যালয়

মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে অবমাননা: ঢাবি শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অবমাননা এবং ২৪-এর শহীদদের নিয়ে উপহাস এর অভিযোগে ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্যের বহিষ্কারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার সহযোগীতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ সকল ফ্যাসিবাদীর দোসর শিক্ষকদের ‘কঠোর’ বিচারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাত ১০টায় ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হলো—বিশ্বনবী  (সা.) -কে অপমান ও ২৪ এর শীদদের অবমাননার জন্য শিশির ভট্টাচার্যকে চাকরিচ্যুত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে; যেসব শিক্ষকরা গণহত্যায় মদদ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বডিকে দ্রুত ভেঙে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সিন্ডিকেট গঠন করতে হবে এবং অতিদ্রুত ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে৷

সমাবেশে, ঢাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মাহফুজা আক্তার স্মৃতি বলেন, বিশ্বনবীকে অবমানমা করা একজনকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা চাই, সে শিক্ষার্থীদের সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, অন্যথায় তাকে অবশ্যই চাকরিচ্যুত করতে হবে।

অন্যদিকে, ফ্যাসিবাদের দোসর যেসব শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার পরেও চুপ ছিলো, গণহত্যায় যারা মদদ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবি জুবায়ের বলেন, বিশ্বনবীকে (সা.) অপমান এবং চব্বিশের শহীদদের অবমাননার জন্য শিক্ষক নামের কলঙ্ক শিশির ভট্টাচার্যকে পদচ্যুত করে বিচার নিশ্চিতের দাবিতে এখানে দাঁড়িয়েছি। আমরা চাই এই শিক্ষককে দ্রুত চাকরিচ্যুত করা হোক। তাকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে চাই না।

তিনি বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নীল দলের শিক্ষকরা নিজামুল হক ভূইয়ার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলো। তারা এখনো ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে এবং ক্লাসেও অংশ নিচ্ছেন। যেখানে আমরা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি সেখানে এই দালাল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আমরা এই শিক্ষকদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।

বিক্ষোভকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।

উপাচার্য বলেন, যেকোনো ব্যক্তি বা ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলার আগে সবাইকে অবশ্যই আরও সচেতন হতে হবে। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয় যা নিয়ে আমাদের কোন প্রকার বিরূপ মন্তব্য করা উচিত না। তাকে যদি চাকরিচ্যুত বা শাস্তির আওতায় আনতে হয়, সেটা আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে যেতে হবে। তাছাড়া, অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণও আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে৷ আমি আইনি পদক্ষেপগুলো দেখবো।

সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ৫ জন শিক্ষককে সিন্ডিকেট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ বাকিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নীল দলের শিক্ষকরা গোপনে জড়ো হয়ে পুনরায় নির্বাচন চাচ্ছে-এ প্রসঙ্গে ঢাবি ভিসি বলেন, আমি এটা শুনেছি। মিটিং ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।

এই বিভাগের অন্য খবর

এছাড়াও দেখুন
Close
Back to top button