সোনাতলা উপজেলা

বগুড়ায় ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যানকে নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ার সোনাতলার বালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি কুচক্রি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন বালুয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি এই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পরপর তিনবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য এবং সোনাতলা উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক। আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক মামলায় কারাভোগ করেছি।


গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পালিয়ে যায়। এরপর আমি গত ৩ সেপ্টেম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করি। দায়িত্ব পালনকালে স্থানীয় একটি কুচক্রি মহল ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি ও অসৎ উপায় অবলম্বন করার প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছে। এবং আমার কাছে তারা অর্থের দাবী করে আসছে। আমি তাদের প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছি।


এতে ওই কুচক্রি মহলের স্বার্থে আঘাত লাগলে তারা আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে বলে জানান প্যানেল চেয়ারম্যান।


আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যার ফলস্বরূপ তারা আমাকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এবং অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা তাদের লোক দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিছিল/মিটিং ও মানববন্ধন করছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাদের এসব কর্মকান্ডে আমার আত্মসম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।
প্যানেল চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পরিষদে যেতে পারিনি। এরপরের নির্বাচনেও নির্বাচিত হয়ে আমি বিভিন্ন হুমকি, প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়েও আমার পরিষদের কাজকর্ম সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আমি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।


এমন সময় এই কুচক্রি মহল আমার নামে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা যে মিথ্যা অপপ্রচারগুলো চালাচ্ছে সেগুলো হলো- আমি নাকি ভাতাভোগী টিসিবি কার্ড, বয়স্ক-বিধবা ভাতা এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বিতরণ করেছি।


আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কিন্তু আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, টিসিবির নতুন করে সরকারি কোনো বরাদ্দ আসেনি এবং বয়স্ক/বিধবা ভাতাও সরকারিভাবে আসেনি। কিছু কার্ড প্রতিস্থাপন হয়েছে তা আমি ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে স্ব স্ব ওয়ার্ডে বিতরণ করেছি।


সংবাদ সম্মেলনের শেষে অপপ্রচারের সুষ্ঠু তদন্ত ও অপপ্রচারকারীদের বিচার দাবি করেন প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button