বগুড়ায় জমি দখল নিয়ে অপপ্রচারের দাবি, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ায় দৈনিক চাঁদনি বাজার ও দৈনিক করতোয়ায় প্রকাশিত ‘পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণ’ সংবাদটি অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গফুর প্রামানিক নামে এক ব্যক্তি। সংবাদ সম্মেলনে ওই সম্পত্তি নিজেদের বৈধপন্থায় ক্রয়কৃত বলে দাবি করেন তিনি।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গফুর প্রামানিক। এ সময় আল-আমিন, সাইদুর রহমান, আনিসুর রহমান প্রমুখ তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে গফুর প্রামানিক জানান, জেএল নং- ২৩৯, মৌজা- মাঝিড়া, সাবেক দাগ নং- ৬৩৫, হাল দাগ নং- ৮৭ এর উত্তর ধারে ৩ শতক জমিতে দীর্ঘ ৮০ বছর ধরে আমরা আধাপাকা দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছি। ওই নালিশি সম্পত্তির সিএস নং- ১৮৯ এর মালিকের কাছে থেকে আমার বাবা ছৈইমউদ্দিন ক্রয় করে। পরবর্তীতে নিজ নামে ১৯১ এমআর খতিয়ান ও তার ওয়ারিশদের নামে হাল গেজেটেড ১১৩ নং মাঠ রেকর্ড ও খারিজ খতিয়ান ২৪৯৯ (৯-১) ১২/২/২০২২ প্রস্তুত আছে । যার হিসাব নং- ১২৭০। এই জমির খাজনাও চলতি বছর পর্যন্ত পরিশোধ করে ডিসিআর পেয়েছি।
এর পরেও ওই সম্পত্তি নিজের দাবি করে আব্দুল মোমিন বগুড়া জেলা প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৭১/৯৬ নং বন্টন মামলা দায়ের করে এবং হেরে যায়। অতপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে প্রথম ২য় যুগ্ম জজ আদালতে ৫০/১৮ আপিল দায়ের করলে আদালত মোমিনের আপিল খারিজ করে দেয়।
গফুর প্রামানিক বলেন, আমরা সকল মামলার রায়ে ডিক্রি এবং জমির সমস্ত কাগজপত্র পেয়ে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নকশা অনুমোদন স্বাপেক্ষ জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু করি। অথচ আমাদের প্রতিপক্ষরা সংবাদমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করে ‘পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করতে প্ররোচিত করে। প্রকৃত অর্থে প্রতিবেদনটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ।
এ ছাড়া বাড়ির কাজ চলমান অবস্থায় মোমিন ও তার ছেলে সেলিম তাদের মামলার খরচ বাবদ ২০ লাখ টাকা টাকা দাবী করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান গফুর প্রামানিক। তিনি বলেন, আমরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে জীবন নাশের হুমকি ও মামলার ভয়ভীতি প্রদান করে।
সংবাদ সম্মেলনে নিজের বক্তব্য উপস্থাপনের পর জীবনের নিরাপত্তা ও হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন গফুর প্রামানিক ও তার অন্যরা।