দুপচাঁচিয়া উপজেলাপ্রধান খবর

জাল দলিলে জমি আত্মসাতের দায়ে বগুড়ায় প্রধান শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ৪


বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় জাল দলিল সৃজন করে জমি আত্মসাতের ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তার চারজন হলেন, উপজেলার পোথাট্টি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফফার সাকিদার, মোছাম্মৎ মুরশিদা বেগম, দলিল লেখক মো. রাশেদ আলী ও শেখ এস নাজমুল হক। এদের সবারি বাড়ি দুপচাঁচিয়া উপজেলায়।


এর আগে ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর উপজেলার পোথাট্টি গ্রামের বাসিন্দা শাজাহান মীর বাদি হয়ে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া আমলী আদালতে মামলা করেন। মামলায় সাত জনকে আসামী করা হয়। পরবর্তীতে মামলার শুনানীতে আরও দুজনকে আসামি করা হয়।


মামলার সূত্রে জানা যায়, পোথাট্টি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে শাজাহান মীরের স্ত্রী সাজেদা বিবির নামে আট শতক জমি রয়েছে। তিনি ২০১৩ সালে মারা যান। এরপর ২০২০ সালে পোথাট্টি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপনে একটি জাল দলিল সৃজন করে জমিটি আত্মসাতের চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে ২০২২ সালে দুপচাঁচিয়া আমলী আদালতে মামলা করেন শাজাহান ও তার সন্তানেরা।


সেই মামলায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর জাল দলিল সৃজন করার বিষয়টি প্রমান হয়। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুপচাঁচিয়া আমলী আদালতের বিচারক সহকারী জজ পলী রানীর আদেশ দেন। বিচারকের আদেশ অনুযায়ী সদর আমলী আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন দুপচাঁচিয়া আদালতের বেঞ্চ সহকারী মিজানুর রহমান। এই মামলায় গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর আসামিদের গ্রেপ্তারে ওয়ারেন্ট জারী হয়। সেই ওয়ারেন্টমূলে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ প্রধান শিক্ষক, তার স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।


মামলার বাদি শাজাহান মীর জানান, স্কুলের পাশের আট শতকের জমিটি আমাদের দখলে আছে। আমার স্ত্রী সাজেদা বিবি ও নজরুল ইসলাম নামে মামলার এক আসামিকে দাতা দেখিয়ে একটি জাল দলিল সৃজন করেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফফার। এতে তার স্ত্রী, নজরুল ইসলাম, দলিল লেখকসহ অন্যরা সহযোগীতা করেন।


দুপচাঁচিয়া থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাল দলিল করে জমি আত্মসাতের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক, তার স্ত্রীসহ চার জনকে আজ ওয়ারেন্টমূলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদের আদালতে চালান করা হয়।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button