বর্তমানে ফুটবল বিশ্বে অন্যতম সেরা ফুটবলার হলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেইমার জুনিয়র এবং লিওনেল মেসি। পিএসজিতে অল্প সময়ের জন্য তারা তিনজন একসাথে খেলেছেন।
তবে আশানুরূপ ফলাফল পায়নি পিএসজি। নেইমার, মেসি এবং এমবাপ্পেকে একই সময় দলে পেয়েও কোনো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে পারেনি পিএসজি। নিয়মিত লিগ শিরোপা জিতলেও পারফরম্যান্সের দিক থেকে তেমন ধারাবাহিক ছিল না তারা। এত তারকাস্মৃদ্ধ দল নিয়েও কেন পিএসজির এমন অবস্থা হয়েছিল, তার কিছুটা ব্যাখ্যা এবার মিলেছে সম্প্রতি নেইমারের দেয়া এক সাক্ষাৎকার থেকে।
সম্প্রতি ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী তারকা রোমারিও কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পিএসজির অভ্যন্তরীণ অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন নেইমার। সাবেক সতীর্থ এমবাপ্পেকে নিয়ে করেছেন বিষ্ফোরক মন্তব্য। জানিয়েছেন, মেসিকে হিংসা করতেন এমবাপ্পে।
পিএসজির সঙ্গে ৬ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে ২০২৩ সালের আগস্টে আল হিলালে যোগ দেন নেইমার। প্যারিসের ক্লাবটিতে শেষদিকের সময়টা তেমন ভালো কাটেনি ব্রাজিলিয়ান তারকার। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং ভক্তদের রোষাণলেও পড়তে হয়েছে সেখানে। ফ্রেঞ্চ তারকা এমবাপ্পের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের গুঞ্জনও শোনা গিয়েছে অনেকবার। তবে সম্প্রতি নেইমার জানিয়েছেন, শুরুর দিকে তাদের সম্পর্ক ছিল বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ।
এমবাপ্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রসঙ্গে নেইমার বলেন, ‘আমি তাকে ‘গোল্ডেন বয়’ বলে ডাকতাম। আমি যখনই ওর সঙ্গে খেলেছি, ওকে সবসময় বলেছি তুমি অন্যতম সেরা হতে যাচ্ছ। আমি সবসময় সাহায্য করেছি। ওর সঙ্গে কথা বলেছি। সে আমার বাড়িতে এসেছে। আমরা একসাথে ডিনার করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জুটি বেঁধে অনেকগুলো বছর ভালো কাটিয়েছি। কিন্তু যখন মেসি এলো, তখন সে কিছুটা হিংসায় ভুগছিল। সে আমাকে কারো সঙ্গে ভাগ করতে চাচ্ছিল না। এরপর কিছু লড়াই হয়েছে। আচরণেও পরিবর্তন এসেছে।’খেলোয়াড়দের ‘ইগো’র কারণে পিএসজির পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়েছিল বলে মনে করেন নেইমার। তিনি বলেন, ‘ইগো থাকা খারাপ না। তবে আপনাকে অবশ্যি এটা মাথায় রাখতে হবে যে খেলাট আপনি একা খেলবেন না। আপনার পাশে অবশ্যই একজনকে থাকতে হবে। ইগো প্রায় সব জায়গাতেই আছে, এটা নিয়ে ভালো করা সম্ভব না। যদি কেউই না দৌড়ায় এবং সাহায্য না করে, সেক্ষেত্রে কিছুই জেতা সম্ভব না।’