নির্যাতনের অভিযোগে নন্দীগ্রামে সাবেক এমপির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন
বগুড়ায় জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে আশিকুর রহমান মতিন নাম এক ছাত্রদল কর্মী।
রোববার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এই সাংবাদিক সম্মেলন হয়।
লিখিত বক্তব্যে আশিকুর রহমান বলেন “আপনারা গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিএনপি বগুড়া জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশারফ হোসেনের ভাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন, চাচাতো ভাই উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি জুয়েল সহ তার অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন ও অনুসারীদের অত্যাচারের খবর শুনে আসছেন। আমিও নির্যাতিতদের একজন। রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও কলেজের একজন ছাত্র হিসেবে আমি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের তেজগাঁও কলেজ শাখা এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগঠনের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছি। আমি বিগত জুলাই- আগষ্টের সফল ছাত্র আন্দোলনেও অংশগ্রহণকারী। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল করা এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহণের অপরাধে আমাকে তেজগাঁও কলেজ প্রশাসন ও ছাত্রলীগ কর্তৃক চরমভাবে নাজেহাল হয়েছি। তবে এই নাজেহাল ও নির্যাতিত হওয়ার বিষয়টি প্রতিপক্ষ শক্তির দ্বারা সংঘঠিত হওয়ায় আমি শারীরিক, আর্থিক ও একাডেমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমি মানসিকভাবে কষ্ট পাইনি।
কিন্তু আমার নিজের মাতৃভূমি এবং নিজের দলের নেতাদের হাতে থানা চত্বরে মারপিটের শিকার হওয়া এবং ডিবি কার্যালয়ে মারধরের ঘটনা মেনে নিতে পারছি না। এমন দাবি করে আশিকুর রহমান বলেন, একজন প্রতিবাদী তরুণ হিসেবে নিজ এলাকায় বিভিন্ন সময়ে অনাচার, সাংগঠনিক সমস্যা, বিএনপি’তে আত্মীয়করণের ব্যাপারে মন্তব্য করে মোশারফ অনুসারিদের বিরাগভাজন হই। এরপর থেকে আমাকে ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে তার পক্ষের লোকজন। এরই এক পর্যায়ে গত ২ সেপ্টেম্বর আমি মামলা সংক্রান্ত একটা কাজে নন্দীগ্রাম থানা যাই। সেখানে ছাত্রদল নেতা জুয়েল ও তার সহযোগী শাকিল আমার ওপর চড়াও হয়। তারা পুলিশের সামনে মারধর করে। আমি পুলিশের সাহায্য চেয়েও পাইনি। এক ঘটনায় আমি লজ্জায়, অপমানে, ক্ষোভে সেখান থেকে চলে আসি। পরে জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছে নালিশ করেও প্রতিকার পাইনি। এরপর ২৮ নভেম্বর আমার বাসায় গভীর রাতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালায়। তারা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট স্টাইলে বাড়ির দরজা ভেঙে আমার আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশির বাধা উপেক্ষা করে আমাকে বগুড়ার ডিবি হেফাজতে নিয়ে যায়। পরের দিন সকালে আমার বাবার কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা লিখে নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই সময় পুলিশ আমাকে উপদেশের ছলে বলেছিল, শোন এখন থেকে মোশারফ সাহেবের কথামত চলবি, টাকা পয়সা, দলীয় পদ পদবী লাগবে বলবি। আমি উনাকে (মোশারফ) বলে তোর ব্যবস্থা করে দেব। মনে রাখিস এবার তোকে ছেড়ে দিলাম এরপর ধরলে কিন্তু সাইজ হয়ে যাবি।””
এসব বক্তব্য উপস্থাপন করে আশিকুর রহমান তার প্রতি অবিচারের প্রতিকারের দাবি জানান।