ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশী নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে বগুড়ায় মশাল মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বেঙ্গালুরুর রামমূর্তি এলাকার কালকেরে লেকের কাছ থেকে ওই বাংলাদেশি নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দেশটির পুলিশের ধারণা, ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারী একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন।
পুলিশের ধারণা, গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন তিনি।
গতকাল স্থানীয় লোকজন একটি নির্জন স্থানে তার মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। ওই নারীর স্বামী বিবিএমপির (বেঙ্গালুরু পৌরসভা) পরিচ্ছন্নতাকর্মী। স্বামী ও তিন সন্তানের সঙ্গে এ শহরেই থাকতেন তিনি।
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার খভর ছড়িয়ে পড়লে দেশে সর্বস্তরে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সন্ধ্যায় বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল বের করেন।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা জানান, স্বাধীন বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসন মানি না, মানবো না। ভারত যতদিন না ঠিক হবে, আমাদের আন্দোলন, প্রতিবাদ চলতে থাকবে। আমরা খবর পেয়েছি, আমাদের এক বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে ভারতের উগ্রবাদী হিন্দু। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা মুসলমান। যে কোনো খারাপ সময় আসুক, আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।
ভারতের পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নারীর স্বামী একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তিন সন্তান নিয়ে উত্তর বেঙ্গালুরুতে থাকতেন তারা। নারী বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি ছয় বছর ধরে এখানে বসবাস করছিলেন। তার কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তবে তার স্বামীর বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি মেডিকেল ভিসায় ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
ওই নারী একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটতে পারে। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার মাথায় গুরুতর জখমের চিহ্ন ছিল।