‘নির্বাচনী রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা হলে নাগরিক প্রত্যাশা পূরণ হবে’

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ দিতে হবে। আমরা আপনাদের পরশপাথর মনে করি। আপনারা নিজেদের পরশপাথর মনে করেন কিনা? যদি মনে করেন তাহলে নির্বাচনের তারিখ রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। নির্বাচনের রোডম্যাপ যত তাড়াতাড়ি ঘোষণা করবেন নাগরিক প্রত্যাশা ততো তাড়াতাড়ি পূরণ হবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচন রোডম্যান ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টার মোকাবেলাসহ বিভিন্ন দাবিতে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিএনপি মানে না। আমরা মানতে পারি না। বগুড়াবাসী মানে না। কারণ বগুড়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি। তারেক রহমানের দেশ।
মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত করা হলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। কেউ সরকারে যাওয়ার স্বপ্ন দেখলে সেই স্বপ্ন বাংলার মানুষ বাস্তবায়ন হতে দেবে না। ১৫ বছর দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাদের ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছে। সেই লড়াইয়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। তিনি ভারতে পালানোর আগে তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপদে পাঠিয়েছেন। শেখ হাসিনার মত কেউ ছলচাতুরী করলে তাদেরও রেহাই নেই। বগুড়া থেকেই বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপি রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমিরুল ইসলাম আলীম, এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, এম আর ইসলাম স্বাধীন, মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল, শেখ তাহা উদ্দিন নাইন, সহিদ উন-নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার, শহর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রহমান সন্ধান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, আইনজীবী ফোরাম বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট আলী আজগর প্রমুখ। এর আগে এদিন দুপুর থেকে বিভিন্ন ব্যানারে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আলতাফুন্নেছা খেলা মাঠে জড়ো হয়। প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী এই জনসভায় অংশ নেন।