ধুনট উপজেলাপ্রধান খবর

ধুনটে আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল, মামলায় আসামি সাংবাদিক, বিএনপি নেতা


ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটে হরতালের সমর্থনে মশাল মিছিলের ঘটনায় ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি আসামি করা হয়েছে সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাদেরও। এতে স্থানীয়ভাবে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।


বুধবার ধূনট থানায় বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইনে ৯৯ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন স্থানীয় বিএনপি নেতা রিপন শেখ। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধুনট থানার ওসি সহিদুল আলম।


মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ জি এম বাদশাহ, এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ তারেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সোবহান, গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আলী লিটন।


এ ছাড়া মামলায় গোঁসাইবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক দিনকালের ধুনট উপজেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ইমন, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন বিপুলের নাম আসামি হিসেবে রয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে হরতালের সমর্থনে আসামিরা মশাল মিছিল বের করে। তখন আসামিরা পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, হাতবোমা ও লাঠি নিয়ে বাদীকে আক্রমণ করেন। এ সময় তারা হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।


মামলার ৯ নম্বর আসামি ধুনট মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং দৈনিক দিনকালের উপজেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ইমন বলেন, “কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলাম না। স্বাধীন সাংবাদিকতা করি। আওয়ামী লীগের মশাল মিছিলের বিষয়টি আমি নিজে ওসিকে বলি। পরে আমার নিজস্ব অনলাইনে নিউজ ও ছবি আপলোড করি। এটা নিয়ে একটি মহল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে আসামি করেছে।”


বিএনপি নেতা সানোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, “বাদীকে ম্যানেজ করে বিএনপির একজন নেতা এটা করিয়েছেন।


সাংবাদিক ইমন ও বিএনপি নেতা সানোয়ার উভয়েই আসামি করার জন্য উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল মুনছুর পাশাকে দায়ী করেছেন।


এ ব্যাপারে জানতে আবুল মুনছুর পাশার মোবাইলে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি।


গোঁসাইবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে যদি বিএনপির লোকই মামলা করে তাহলে কোথায় দাঁড়াব আমরা? আমি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসামি করার প্রতিবাদ জানিয়েছি।”


ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, স্থানীয় বিএনপির এক কর্মী মামলা করেছেন। তখন আমি থানায় ছিলাম না। তবে মামলা তদন্ত করে দেখব আসলেই কারা জড়িত ছিল। অন্যায়ভাবে কাউকেই হয়রানি করা যাবে না

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button