বগুড়ায় নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান

বগুড়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী হাজতখানায় পুলিশের সহযোগিতায় শহর শ্রমিক লীগের সাবেক আহ্বায়ক তুফান সরকার নামের এক আলোচিত আসামিকে রাখা হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে এই ঘটনার পর থেকে আদালতের দোতলায় পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাপক ভিড় লেগে যায়।
পুলিশ জানায়, বিদ্যুৎ আদালতের একটি মামলায় আজ হাজিরা দিতে কোর্টে নেওয়া হয় অন্য মামলায় জেলখানায় থাকা তুফান সরকারকে। হাজিরা শেষে তাকে পুলিশ আদালতের হাজতখানায় নারী কাস্টডিতে রেখে দেন। ওই সময় নারী হাজতখানায় তুফান সরকারের স্ত্রী, তার শ্বাশুড়ী ও কোর্টের এক আইনজীবীর সহকারি ছিলেন বলে পুলিশের লোকজন জানিয়েছেন।
তারা ভিতরে থাকা অবস্থায় বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বর সরব হয়ে ওঠে। এর এক পর্যায়ে বিকেলে চারটার পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রটসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান জানান, কোর্টের নারী কাস্টোডিতে নারীদের সঙ্গে একটি মামলার আসামিকে রাখা ছিল। এখানে আইনত অপরাধ হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২০১৭ সালে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে বগুড়ায় এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই ছাত্রীর মা ও মেয়েকে মাথা ন্যাড়া করে দেয় স্ত্রী ও স্বজনেরা। বিষয়টি মিডিয়াতে আসলে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে তুফানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে হত্যাসহ অন্তত এক ডজন মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন বগুড়ার আলোচিত নেতা তুফান।