শিশু ধর্ষণের প্রধান আসামি’র আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণের মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে প্রধান আসামি আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ। শনিবার বিকালে মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাদী পক্ষের প্যানেল আইনজীবী শাহেদ হাসান টগর জানান, মামলার প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জবানবন্দিতে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। জবানবন্দি প্রদানকালে হিটু শেখ জানান, নির্জন ঘরে একা পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।

পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাত দিনের রিমান্ডে থাকা মামলার মূল অভিযুক্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে শনিবার সকাল ১০টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে আদালতে উপস্থাপন করেন। বিকাল ৪টা পর্যন্ত আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। জানা গেছে, আসামি একাই এ ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেছে। তবে কখন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

মাগুরা সদর থানার ওসি মো. আইয়ুব আলী বলেন, আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে সে আদালতে কী বলেছে এটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। এই ঘটনায় শিশুটির মায়ের করা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি, তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অন্য তিন আসামি এখনও রিমান্ডে আছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

১ মার্চ শিশুটি শ্রীপুরের নিজ বাড়ি থেকে পৌরসভার একটি গ্রামে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৬ মার্চ বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। এর আগে ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়।