অর্থ ও বানিজ্য

চলতি মাসের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২২৫ কোটি ডলার

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক গড়তে চলেছে চলতি বছরের মার্চ মাস। এই মাসের প্রথম ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২২৫ কোটি ডলার, যা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) এর পরিমাণ প্রায় ২৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে আসছে ১১ কোটি ৮৪ লাখ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মার্চ মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে, যা দেশের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অর্থ পাচার কমেছে এবং হুন্ডি কারবার কমে এসেছে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম খোলাবাজারের কাছাকাছি হওয়ায় প্রবাসীরা বৈধ পথে টাকা পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছেন। এছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেমিট্যান্সের প্রবাহ আরও বেড়েছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার, যা আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৫৫ কোটি ডলার।

এর আগে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২.৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এছাড়া চলতি অর্থবছরের আগস্ট থেকে টানা সাত মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। জুলাই মাসে ১৯১.৩৭ কোটি, আগস্টে ২২২.১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।

২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় জুলাই মাসে ২.৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যা পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ২.৬৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৪.৮০ কোটি ডলার বেশি ছিল।

এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালেই রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ড গড়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button