
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী আপন বড় ভাইয়ের দ্বারা একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে ধুনট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
বুধবার বিকেলে পুলিশ আসামিকে সুজন (২২) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ধর্ষিতা কিশোরীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর পূর্বে ওই কিশোরীর বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা স্বামীর বাড়ি থেকে দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। জীবিকার তাগিদে ওই কিশোরীর মা পার্শ্ববর্তী শেরপুর উপজেলায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার সুবাদে সেখানেই থাকেন। তার বড় বোনের বিয়ে হওয়ায় স্বামীর সাথে বসবাস করেন। ধর্ষিতা ওই কিশোরীর পাশের গ্রামে বিয়ে হলেও স্বামী সাথে বনিবনা না হওয়ায় নানী ও বড় ভাইয়ের সাথে উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের চুনিয়াপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাস করছিলেন এতমাস্থায় লম্পট বড় ভাই সুজন ওই কিশোরীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দুই মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। গত ১৮ মার্চ রাতে কিশোরীকে আবারও সুজন ধর্ষণ করলে কিশোরী অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে প্রতিবেশীর কাছে ঘটনা খুলে বললে তারা ওই কিশোরীর মাকে ফোনে বিষয়টি জানায়। পরে তার মা এসে বুধবার ধর্ষক ছেলে সুজনের নামে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। এরপর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে গাবতলি উপজেলার মহিষাবান এলাকা থেকে ধর্ষক সুজনকে গ্রেপ্তার করে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, এই ন্যক্কারজনক ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত ওই লম্পটকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।