
নির্ধারিত সময়ে ৩-২ গোলে জয়ের পরও পর্তুগাল কে অপেক্ষা করতে হয়েছে।কারণ অগ্রগামিতায় ম্যাচ তখনও সমানে সমান ছিল। তাই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত ৫-২ গোলে জয় নিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে পর্তুগাল।
উয়েফা নেশন্স লিগের শেষ আটের প্রথম লেগে ডেনমার্কের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল পর্তুগাল। সেমিতে উঠতে হলে দ্বিতীয় লেগে অন্তত এক গোলে এগিয়ে থেকে জিততে হতো তাদের। ম্যাচটি পর্তুগাল জিতেছে ঠিকই। তবে তা অতিরিক্ত সময়ে।
ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে জোয়াকিম আন্দ্রেসেনের আত্মঘাতী গোলে পর্তুগাল এগিয়ে যায়। তার আগে পেনাল্টি মিস করে বসেন রোনাল্ডো। ম্যাচের ৬ মিনিটে তার দুর্বল শটটা ঠেকান ক্যাসপার শ্মাইখেল।
ডেনিসরা ম্যাচে সমতা ফেরায় ৫৬তম মিনিটে। রাসমুস ক্রিস্টেনসেনের গোল ডেনমার্ককে সামগ্রিক লড়াইয়ে এগিয়েও দেয়। প্রথম লেগে রাসমুস হয়লুন্ডের গোলে ১-০ গোলের জয় পেয়েছিল ডেনিসরা।
৭২ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো পর্তুগালের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন। কিন্তু মাত্র চার মিনিট পরই ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন গোল করে আবার সমতা ফেরান। পর্তুগালের খেলোয়াড়রা হাল ছাড়েনি। তারা আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং ৮৬তম মিনিটে ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাও দলের তৃতীয় গোলটি করেন।
প্রথম লেগে ডেনমার্ক ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল। তাই পর্তুগালের জন্য এই ম্যাচ ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ। নির্ধারিত সময় শেষে ৩-২ গোলে এগিয়ে থাকা পর্তুগাল অতিরিক্ত সময়ে আরও দুটি গোল করে জয় নিশ্চিত করে। ৯১তম মিনিটে ত্রিনকাও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন, আর ১১৫তম মিনিটে গনসালো রামোস পর্তুগালের পঞ্চম গোলটি করেন।
এই জয়ের ফলে পর্তুগাল জাতীয় দল উয়েফা নেশনস লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। সেখানে তারা জার্মানির মুখোমুখি হবে, যারা ইতালিকে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছেছে। জার্মানি ইতালির সে ম্যাচেও হয়েছে গোলবন্যা। ৬ গোল দেখেছে ম্যাচটা, দুই দলই সমান তিনটি করে গোল করেছে। তবে আগের লেগে ২-১ গোলের জয় থাকায় এই ম্যাচে ড্রয়ের পর
সামগ্রিক লড়াইয়ে ৫-৪ ব্যবধানের জয় নিয়ে শেষ চারে চলে যায় জার্মানরা।