বগুড়া জেলা

গাইবান্ধায় ছাত্রদলের সদস্য সচিবের উপর অতর্কিত হামলা: বগুড়ার হাসপাতালে ভর্তি

ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনে ব্যানারে নাম না থাকার বিতর্কে পূর্ব শত্রুতার জেরে গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মৃদুলের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিজ এলাকায় পুনরায় দুর্বৃত্তদের হামলা আতঙ্কে গাইবান্ধা থেকে শুক্রবার রাতে বগুড়ায় এসে সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলা ছাত্রদলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শুক্রবার উল্লা ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হয়েছিলো আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্ব অথচ ব্যানারে ছিলো না সদস্য সচিব মৃদুলের নাম। এ নিয়ে মঞ্চে থাকা অন্যান্য নেতাকর্মীকে জিজ্ঞাসা করতে গেলেই দলীয় কোন্দল ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিত হামলা করা হয় মৃদুলের ওপর। জীবন বাঁচাতে স্কুল মাঠের পাশে একটি মিষ্টির দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানেও ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।

হামলার শিকার ছাত্রদল নেতা মৃদুলের অভিযোগ সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহম্মেদ তুলিপ ও তার বাহিনীর দুর্নীতি, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ ও সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে হওয়া মানববন্ধনে অংশ নেয়ার জেরে তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

মৃদুল বলেন, দীর্ঘ বছর ছাত্র রাজনীতিতে জেল, জুলুম সহ্য করেও কখনো জাতীয়তাবাদী আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি হননি তিনি। পরিবারের সাথে না থাকতে পেরে রাতের পর রাত কাটিয়েছেন গোরস্থান, খোলা মাঠ আর চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়। অথচ ৫ আগস্ট পরবর্তীতে এসে ন্যায্য কথা বলার অপরাধে পূর্ব শত্রুতার রেশ মেটাতে তাদেরই অভিভাবক সংগঠন উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থেকেও তার ওপর যে নির্মমভাবে হামলা করা হয়েছে তা কখনোই মেনে নেয়া যায় না।

তিনি এই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেন।

ছাত্রদল নেতা মৃদুলের শারীরিক অবস্থার সম্পর্কে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও রাশেদুল ইসলাম জানান, মিজানুর রহমান মৃদুল মাথায় আঘাত নিয়ে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। এছাড়া তার ঘাড়, কাঁধ ও বুকে ব্যাথা পেয়েছে। তার চিকিৎসা এখনও চলছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button