ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলেন উত্তরাঞ্চলের ৫ গ্রাহক

দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের জন্য `ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২’। ক্যাম্পেইনটির আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া পাচ্ছেন লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ উপহার। সম্প্রতি ক্যাম্পেইনটির আওতায়ভুক্ত ওয়ালটনের পণ্য ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা করে ক্যাশ ভাউচারে পেয়েছেন উত্তরাঞ্চলের ৫ জন ক্রেতা। ওয়ালটনের সম্মানিত ৫ জন ক্রেতাকে আজ ক্যাশ ভাউচার বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
বগুড়ার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাদের হাতে উপহার তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান।
ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে যারা লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার জিতেছেন তারা হলেন, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা মিয়াপাড়া গ্রামের আশিকুর রহমান, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দোবিলা গ্রামের আমজাদ হোসেন, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া গ্রামের মেহেরা বেগম। এছাড়া রাজশাহীর চারঘাটের মোস্তফা ইলেকট্রনিক্স থেকে তৌহিদা খাতুন এবং জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার আপন এন্টারপ্রাইজ থেকে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে লাখ টাকা পুরষ্কার পেয়েছেন। ক্যাশ ভাউচারে পাওয়া এই ১ লাখ টাকায় তারা ওয়ালটনের পণ্য কিনতে পারবেন।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পিরব ইউনিয়নের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম গত ১৮ মার্চ জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার আপন এন্টারপ্রাইজ থেকে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনেছেন। এরপর ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন। তিনি জানান, ১ লাখ টাকার মধ্যে তিনি ওয়ালটনের ওয়াশিং মেশিন, ব্লেন্ডার মেশিন, সিলিং ফ্যান কিনবেন।
ক্যাশ ভাউচার জেতা আরেকজন সৌভাগ্যবান নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া গ্রামের মেহেরা বেগম। তিনি জানান, ৫৪ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজ কিনেছেন গত ১৫ মার্চ। এর ২ দিনপর তিনি জানতে পারেন ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন। বিষয়টি জানার পর তার খুব খুশি লেগেছে। তিনি ক্যাশ ভাউচার দিয়ে আরেকটি ফ্রিজ কিনবেন তার মেয়ের জন্য। এছাড়া মোবাইল এবং টিভি কিনবেন। এরপরেও টাকা অবশিষ্ট্য থাকলে অন্য কিছু কিনবেন।
ক্যাশ ভাউচার বিতরণের সময় চিত্রনায়ক আমিন খান আমিন খান বলেন, সারা বাংলাদেশে আমাদের এই ক্যাম্পেইনটি এখন রানিং আছে। ওয়ালটনের ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনলে ক্রেতারা দশ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন। এই ক্যাম্পেইনটি আজ থেকে শুরু হয়নি। এখন সিজন ২২ চলছে। আগে আমরা ২১টি সিজন পার করেছি। এ পর্যন্ত আমি প্রায় ৪৫ জনের উপরে গ্রাহককে এই টাকা হ্যান্ডওভার করেছি আমি নিজে। ১০ লাখ না হলে ২০ লাখ টাকা। ১ লাখ টাকা তো হরহামেশাই দেয়া হচ্ছে। এটা দেয়ার দুইটি উদ্দেশ্য রয়েছে। ১ নম্বর উদ্দেশ্যে হলো, সারাদেশে বিভিন্ন দেশের নকল পণ্য এবং ননব্র্যান্ডের পণ্য এসে ভরে গেছে। যেটা আমাদের সাধারণ মানুষ এটা চিনতে পারি না, কোনটা আসল পণ্য আর কোনটা নকল পণ্য। আমাদের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন, বেশি লাভের আশায় তারা এই নকল পণ্যগুলো সিল দিয়ে গ্রাহকের হাতে তুলে দেয়। আমরা চিন্তা করলাম, সাধারণ মানুষ যারা আসল পণ্য চিনছে না, তাদের কষ্টের টাকা দিয়ে তারা যেন আন্তর্জাতিক মানের সঠিক পণ্য কিনতে পারে সেজন্যেই আমাদের এই অফারগুলো ডিক্লেয়ার করা হয়। মানুষ যেন অন্য দিকে না গিয়ে আমাদের এই অফারের কথা শুনে শোরুমে আসেন এবং পণ্যগুলো কেনেন। দুই নাম্বার উদ্দেশ্যে হলো, আমরা কি সারা বছর পণ্য বিক্রি করে লাভ নিয়ে যাবো? এটা কি হয়? আমরা চাই আমাদের দেশে যখন বড় বড় ফেস্টিভাল আসে। বিশেষ যখন যখন দুই ঈদে আমরা এই অফারগুলো দিয়ে থাকি। যেন সাধারণ মানুষগুলো যেন এই অফারের টাকা দিয়ে তাদের জীবনের মান পরিবর্তণ করতে পারেন। এই যে ১০ লাখ বা ১ লাখ টাকা পেয়ে অনেকের কিন্তু তাদের তাদের জীবন চেঞ্জ হয়ে যায়। আমি নিজেই দেখেছি অনেকের জীবন চেঞ্জ হয়ে গেছে। আমরা চাই তারাও যেন বিনিফিটেড হন আমাদের দ্বারা।
তিনি বলেন, আমি আশা করবো আপনারা যে ৫ জন আজকে উইনার হয়েছেন, আপনারা শুধু উইনার না। আপনারা ওয়ালটনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবেন আপনার এলাকায়। আপনারা জানেন আমি একজন অভিনেতা। অভিনয় করা আমার পেশা। কিন্তু আমি কেন ওয়ালটনে সম্পৃক্ত হলাম? আমি এই কারণে ওয়ালটনের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি, আমি চাই, আমার দেশের মানুষ যেন সঠিক পণ্য পায়। আমি বললে হয়তো দুই একজন শুনবেন। এই কথাটা প্রচার পাবে। আজ এ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি সারা বাংলাদেশে আপনি যেন সঠিক পণ্যটা নিতে পারেন। ঠিক তেমনি আপনার এলাকাতে আপনাদের দায়িত্ব আপনার প্রতিবেশিকে বোঝানো যে আমি যদি ওয়ালটন থেকে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য পাই তাহলে আপনি কেন অন্য জায়গা থেকে পণ্য কিনবেন। তিনি বলেন, ওয়ালটনকে আন্তর্জাতিক বলছি কারণ, পৃথিবীর ৪২টি দেশে ওয়ালটন থেকে পণ্য রপ্তানী হয়। তো এই পণ্যের যদি মান খারাপ হতো তাহলে ৪২টি দেশ থেকে এই পণ্য নিতো? কেউ নিতো না। নিশ্চয়ই এর মান ভালো বলেই তো নেয়। সেই পণ্যটাই কিন্তু আপনারা এখানে পাচ্ছেন। এই যে ৪২টি দেশের মানুষ এই পণ্য কিনছে, তারা কিন্তু এই পণ্য বিদেশি পণ্য হিসেবেই কিনছে। এটা তৈরি হচ্ছে এখানে। তার মানে পণ্যের ব্যাপারে কোন রকম প্রবলেম নেই। ওয়ালটনের সবচেয়ে বড় যে গুণ সেটা হলো আফটার সার্ভিস। সারাদেশে আমাদের অসংখ্য সার্ভিস সেন্টার আছে। যেখানে কোন সমস্যা হলেই আপনি সাথে সাথে সার্ভিস পাচ্ছেন। যে বাংলাদেশের কোন ইলেকট্রনিকস্ প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে আমার মনে হয় আমাদের যত সার্ভিস সেন্টার আছে, তাদের এটা নেই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, শাহজালাল হোসেন লিমন, ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মনিরুল হক মনা, চিফ ডিভিশনাল অফিসার জাহিদুল ইসলাম, কাজী আরিফ হোসেন, ওয়াহিদুল ইসলাম, ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার ওবায়দুর রহমান, শাকিল হোসেন ও আবু নাসের প্রধান।