বগুড়া জেলা
ট্রেন্ডিং

হিরো আলমের বিরুদ্ধে বগুড়ায় ধর্ষণ মামলা

আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ মারধর করে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে।

গতকাল রোববার বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এ সাদিয়া রহমান মিথিলা নামের এক নারী এই মামলা করেন।

মামলায় হিরো আলমসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে অন্য আসামিরা হলেন, তার মেয়ে আলো বেগম, ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিন, মালেক ও তার স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবাবী সেলিম।

মামলার পর আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে তদন্তের বগুড়ার পিবিআই পুলিশ সুপারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদির অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদীকে অভিনয়ের সুযোগ দেয়ার আশ্বাস দিলে বাদী হিরো আলমের সাথে ওঠাবসা শুরু করেন। এরপর এক সময় হিরো আলম তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে মৌলভী ডেকে এনে বাদির সাথে হিরো আলম কবুল পড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করতে থাকে। এরই মধ্যে শর্ট ফ্লিম তৈরির জন্য তার কাছ থেকে হিরো আলম ১৫ লাখ টাকা ধার নেন। পরে বাদি হিরো আলমকে বিয়ের কাবিনের জন্য চাপ দিলে হিরো আলম বাদিকে গত ১৮ এপ্রিল বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে আসে এবং তাকে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু বাদি তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হলে অন্যান্য আসামিরা গত ২১ এপ্রিল তাকে মারপিট করলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর ওই দিন তাকে বগুড়া শহরে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ এপ্রিল ভর্তি করা হলে সেখানে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসা গ্রহণ করে মর্মে অভিযোগে বলা হয়ে।

অভিযোগের বিষয়ে হিরো আলম বলেন, সবাই আমাকে ফোনে বিষয়টি আমাকে বলতেছে। আমি এখনও জানি না। তবে করলে করতে পারে। রিয়া চক্রান্ত করে করাতে পারে। যেহেতু রিয়াকে আমি ডিভোর্স দিয়েছি। সে হয়তো চাচ্ছে এরকম মামলা দিয়ে আমাকে আটকাতে। পরবর্তীতে হয়তো সে বলতে পারে তুমি সংসার করলে মামলা আমি ক্লিয়ার করে দেবো। এরকম কিছু হতে পারে। এসব বিষ‌য়ে কথা বল‌তে আমি আপনাদের খুব শিগ‌গির ডাক‌বো।

বগুড়া পিবিআই এর ইনচার্জ (পরিদর্শক) জাহিদ হোসেন বলেন, মামলার কাগজপত্র এখনও আমাদের কাছে আসেনি। আগামীকাল আদালতে যাবো এ বিষয়ে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button