লাইফস্টাইল

গরমে কাঁচা আম: স্বাদে-সুগন্ধে উপকারিতার রাজা

বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল মানেই প্রকৃতির অফুরন্ত দান—তাঁরই মাঝে অন্যতম হচ্ছে কাঁচা আম। গরমের দাবদাহে যখন শরীর ক্লান্ত ও তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে, তখন কাঁচা আম শুধু স্বাদেই নয়, উপকারিতার দিক দিয়েও অনন্য এক ফল। গ্রামের পথঘাট থেকে শহরের বাজার—সবখানেই কাঁচা আমের সমারোহ দেখা যায় এই সময়টায়।

কাঁচা আমের পুষ্টিগুণ

কাঁচা আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষগুলোকে সজীব রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এতে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায়।

গরমে কাঁচা আম কেন উপকারী?

গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। এই অবস্থায় কাঁচা আম হতে পারে দারুণ এক প্রাকৃতিক সমাধান। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে, ঘামের মাধ্যমে যে লবণ ও মিনারেল শরীর থেকে বের হয়ে যায়, তা পূরণে সহায়তা করে। বিশেষ করে ‘আম পান্না’ নামে জনপ্রিয় এক পানীয় গ্রীষ্মের শরবত হিসেবে খুবই উপকারী ও রিফ্রেশিং।

স্বাদে বৈচিত্র্য

কাঁচা আম দিয়ে তৈরি করা যায় অসংখ্য মুখরোচক খাবার:

আম পান্না: সেদ্ধ কাঁচা আম, চিনি, বিট লবণ ও ভাজা জিরা দিয়ে তৈরি ঠান্ডা পানীয়।

কাঁচা আমের ভর্তা: আম সেদ্ধ করে লবণ, কাঁচা মরিচ ও সরিষার তেল দিয়ে।

আমচাটনি ও আচার: মিষ্টি বা ঝাল স্বাদে তৈরি চাটনি কিংবা আচার।

আমচুর: শুকনো কাঁচা আম গুঁড়ো করে তরকারিতে ব্যবহার।

সতর্কতা

যদিও কাঁচা আম খুবই উপকারী, অতিরিক্ত খেলে তা পেটের গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই উত্তম।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button