জাতীয়
ট্রেন্ডিং

চাপ ও অভিমানে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ড. ইউনূসের!

চতুর্মুখী চাপ ও রাজনৈতিক জটিলতার মুখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত তিনি সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

উপদেষ্টা পরিষদের ওইদিনের বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকের শুরুতেই সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কারণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমি তো প্রধান উপদেষ্টা হতে চাইনি। একটি রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। আমাকে সংস্কারের ম্যান্ডেট দেওয়া হয়েছে, শো-পিস হয়ে বসে থাকার জন্য নয়। কাজ করতে না পারলে পদত্যাগ করাই উত্তম।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব পক্ষের ঐকমত্যে আমি দায়িত্ব নিয়েছি, আজ তারাই ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। আমাদের প্রতিটি উদ্যোগেই বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। এভাবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।”

বৈঠকে উপস্থিত উপদেষ্টারা তীব্র আপত্তি জানান তার এই বক্তব্যে। এক উপদেষ্টা বলেন, “এটি কোনো ব্যক্তিগত সরকার নয়—এটি জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত সরকার। পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না।” অন্য একজন মন্তব্য করেন, “দুই হাজার তরুণের আত্মত্যাগের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়েছে এই সরকার। এটি ব্যর্থ হলে দেশ ব্যর্থ হবে।”

বৈঠকের একপর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টা কিছুটা শান্ত হন এবং জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তবে উপদেষ্টারা পরামর্শ দেন—এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও দু’একদিন সময় নেওয়া হোক।

এদিনের বৈঠক শেষে বরাবরের মতো গণমাধ্যমে কোনো ব্রিফিং দেওয়া হয়নি। উপদেষ্টারা সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button