১৬৫৯ দিনের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরল জাতীয় স্টেডিয়াম। আর ঐতিহাসিক এই দিনে মাঠে নামা বাংলাদেশ জাতীয় দলও নিরাশ করেনি। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করল জামাল-হামজারা। আসন্ন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এ জয় নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যদের।
ম্যাচের শুরুতেই গ্যালারি কাঁপিয়ে দেন ইংলিশ লিগে খেলা মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। ষষ্ঠ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁয়ে জালে পাঠান বক্সের ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকা হামজা। জাতীয় দলের জার্সিতে হোম ম্যাচে অভিষেকেই গোল! স্টেডিয়ামের উচ্ছ্বাসে যেন নতুন প্রাণ পেলেন সদ্য বাংলাদেশকে বেছে নেওয়া এই প্রবাসী ফুটবলার।
এরপর একের পর এক আক্রমণে ভুটানকে ব্যতিব্যস্ত রাখে লাল-সবুজের দল। ফাহামেদুল ইসলামের পাস থেকে রাকিব হোসেন শট নিয়েছিলেন, ফিরতি বলে জামাল ভূঁইয়ার শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়- অল্পের জন্য বঞ্চিত হয় আরও একটি গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই বাজিমাত করেন অভিজ্ঞ সোহেল রানা। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে দূরপাল্লার এক চমৎকার শটে ভুটানের জালে বল পাঠান তিনি। ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কিছুক্ষণ পর রাকিব হোসেন গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করলে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি।
আজকের ম্যাচে অভিষেক হয়েছে তরুণ উইঙ্গার ফাহামেদুল ইসলামেরও। তার গতিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে ভুটানের রক্ষণভাগ। বারবার দৌড়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেছেন তিনি। হামজা ও ফাহামেদুলের সঙ্গে মিলে গতি আর আগ্রাসনে বাংলাদেশ প্রথমার্ধেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কোচ হ্যাভিয়ের কৌশলগত পরিবর্তনে মাঠে আনেন হৃদয়, মোরসালিন ও ইব্রাহিমকে। তুলে নেন অভিষিক্ত তিন তারকা- হামজা, জামাল ও কাজেমকে। যেহেতু এটা প্রীতি ম্যাচ, তাই অনুমোদিত পাঁচজনের বেশি বদলি করে পরখ করে নিচ্ছেন ফুটবলারদের। মূলত সিঙ্গাপুর ম্যাচকে সামনে রেখেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চলছে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
