বগুড়া জেলা

বিশ বছর পূর্তির উৎসবে বগুড়া জিলা স্কুল শূন্য পাঁচ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘তিমির ভেদিল আলোর নাচ, বগুড়া জিলা স্কুলের শূন্য পাঁচ’ এই প্রতিপাদ্যে ২০০৫ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেছে উৎসবে।

ঐতিহ্য আর গৌরবের দ্বীপশিখা নিয়ে বিদ্যালয় পেরোনোর বিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে রোববার (৮ জুলাই) সকাল থেকে দিনটি উদযাপন শুরু হয়।

আয়োজকরা জানান, বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ২০০৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বের হন এই শিক্ষার্থীরা। স্কুল গণ্ডি পার হলেও হৃদয়ের আঙিনায় সারাজীবন স্থান করে থাকবে প্রাণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যালয় ও সহপাঠিদের প্রতি ভালোবাসা বারেবারে ফিরে নিয়ে আসে সবুজে ঘেরা মাঠে। যেকোনো উপলক্ষে আবেগের এই স্কুলমাঠ মুখরিত হয় বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের আনাগোনায়।


কালক্রমে ২০০৫ ব্যাচের বিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় পেরিয়েছ বিশটি বছর। এই বছর পূর্তির দিনটি বিশেষভাবে উদযাপনের দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করছিলেন তারা।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ প্রাণের বিদ্যালয়ে আবার মিলিত হয়েছেন সাবেকরা। উদযাপন করছেন শূন্য পাঁচের এক কুড়ি উৎসব।

উৎসব উপলক্ষে দেশে-বিদেশে থাকা জিলা স্কুলের ১৮৫ জন সাবেক শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করেছেন। সকালে স্কুলজীবনের প্রাত্যহিক সমাবেশ দিয়ে শুরু করেন তারা। এরপর শহরের প্রধান সড়কে আড়ম্বরপূর্ণ আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।

২০০৫ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মির্জা গোলাম সাবুরু জানান, পুনর্মিলনীর যে অনুভূতি তা ভাষায় বলার কিছু নেই। আমাদের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ সব সময় আছে। তবে স্কুল থেকে বের হওয়ার বিশ বছরে আমরা সবাই একসাথে একত্রিত হতে পারছি, এটাই ভালো লাগা।
আল ফারহান নামে আরেক সাবেক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের বেশ কিছু বন্ধু এখন প্রয়াত। তারা বাদে ১৮৬ জন বন্ধু আমরা একত্রে আছি। এই পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে অনেকে বিদেশ থেকে এসেছে বগুড়ায়। স্কুল ও বন্ধুদের এই ভালোবাসা কোনো কিছু দিয়ে পরিমাপ করা যায় না।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা প্রবাসী ইফতেখারুল আলম সাগর ও মারজানুর রহমান আসিফ জানান, শুধু পুনর্মিলনীতে উপস্থিত থাকতে এবার দেশে এসেছেন। বন্ধুদের সাথে আবার প্রাণের স্কুলে একত্রিত হতে পেরে তারা আনন্দিত।

আয়োজকরা জানান, অনুষ্ঠানের মূল পর্ব বিকেলে, শিক্ষকদের সাথে সম্মিলন হবে। এই পর্বে শিক্ষকদের সম্মাননা জানানোর পাশাপাশি স্মৃতি চারণ করবেন শিক্ষার্থীরা।
সাবেক শিক্ষার্থীরা পরিবারের সদস্য ও শিক্ষকদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্তি করবে।

পুনর্মিলনীর সভাপতি ও বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিমা নাসরিন বলেন, এই ছেলেরা এক সময় শিশু ছিল। আমাদের হাতে বড় হয়েছে। এখন তারা বিশ বছর পূর্তি পালন করছে আমাদের নিয়ে। তারা এখন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কাজ করছে, দেশকে সেবা দিচ্ছে। ওরা আমাদের সন্তানের মতো। তারা প্রত্যেকে আমাদের কাছে সফল। তাদের সঙ্গে সময় কাটানো এক অন্য ধরনের তৃপ্তি।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button