
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশেও সতর্কতা জোরদার করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পাঁচ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) রাতে নিজের সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।
তিনি বলেন, করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। একই সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব বিষয় মানার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো-
১. করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত সাবান ব্যবহার ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া।
২. জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরা।
৩. যদি কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি আশপাশে থাকে, তবে তার থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।
৪. অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।
৫. হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায়। একই সাথে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই মজুত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গুরুতর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়। এরপর থেকে দেশে সংক্রমণ বেড়েছে কয়েক দফায়। সৃষ্টি হয়েছে জনস্বাস্থ্য সংকটও।
এছাড়া সরকারিভাবে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, এবং জনসমাগম এড়ানোসহ স্বাস্থ্যবিধি পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ায় এসব বিধিনিষেধ শিথিল করা হয় অনেকাংশে।
সম্প্রতি দেশে আবারও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখা গেছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার। এর পর পরই আবারও সুরক্ষা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।