বগুড়ায় সাবেক গ্রামীণফোন কর্মীদের অনন্য প্রতিবাদ “Road2Justice”

সাবেক গ্রামীণফোন কর্মীদের ন্যায্য পাওনা ৫% পেনাল্টির দাবিতে চলমান “Road2Justice” আন্দোলনের অংশ হিসেবে বগুড়ায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) বগুড়ার জলেশ্বরীতলা গ্রামীণফোন সেন্টারের সামনে এ মানববন্ধন, স্বাক্ষর সংগ্রহ ও রেজিস্ট্রেশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মসূচিতে বগুড়া জেলা ও আশপাশের উপজেলা থেকে আগত শতাধিক সাবেক কর্মী অংশগ্রহণ করেন। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও প্রতিবাদী স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা জানান, এ আন্দোলন শুধু অর্থনৈতিক পাওনার জন্য নয়—এটি মর্যাদা, ন্যায্যতা ও সম্মানের জন্য লড়াই।
আন্দোলনকারীরা বলেন, এই দাবির সূত্রপাত ২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বর, যখন ঢাকার গ্রামীণফোন হাউজের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু ২০২৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ নৃশংসভাবে হামলা চালায়। লাঠিচার্জ, জলকামান ব্যবহার, নারী কর্মীদের হেনস্তা—সবমিলিয়ে এক ভয়াবহ দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরেন তারা।
ঘটনার দিন ১১ জন গ্রেফতার হন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ৩ জন নারী। এ ঘটনায় এখনও কেউ দুঃখ প্রকাশ বা দায় স্বীকার করেনি।
বগুড়ার কর্মসূচিতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় সদ্য প্রয়াত আন্দোলনকর্মী রাজীব মাহমুদের মৃত্যুতে।
গত ৮ জুন, বিনা চিকিৎসায়, দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে বহুবার অনুরোধ করেছিলেন: “আমাকে আমার প্রাপ্য ৫% টাকাটা দিন, চিকিৎসা করাতে চাই।” কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।
আন্দোলনকারীরা বলেন,
“রাজীব ভাইয়ের মৃত্যু একটি ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, এটি একটি জাতিগত ব্যর্থতা, একটি বিবেকহীন ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি।”
Road2Justice আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যতদিন না সাবেক কর্মীদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে, ততদিন এ লড়াই চলবে।
তাঁরা আরও বলেন—এই আন্দোলন ভয় দেখিয়ে থামানো যাবে না।
“We want justice. We demand dignity. We are not backing down.”