ইরানে ইন্টারনেট বন্ধ করার পর স্টারলিংক চালু করলেন ইলন মাস্ক
মার্কিন ধনকুবের ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, ইরান সরকার স্থলভিত্তিক ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর তার মালিকানাধীন উপগ্রহ-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা ‘স্টারলিংক’ দেশটিতে চালু করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক পোস্টে মাস্ক লেখেন, “The beams are on,” অর্থাৎ “সংযোগ চালু হয়েছে।”
এর আগে শুক্রবার সকালে ইরান সরকার ‘নিরাপত্তাজনিত কারণ’ দেখিয়ে দেশের ইন্টারনেট সংযোগ স্থগিত করে। দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটন টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের ফলে সাধারণ মানুষ আন্তর্জাতিক সংবাদ ও তথ্যের উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় স্টারলিংককে বিকল্প ইন্টারনেট হিসেবে চালু করার উদ্যোগ নেন ইলন মাস্ক।
এর আগে, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় এবং কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সরকারপন্থি কর্মকর্তার ওপর আঘাত হানে। এই হামলার জেরে ইরানে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে ওঠে।
ওয়াশিংটন টাইমস আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে, এই পরিস্থিতি ইরানে গণঅসন্তোষের জন্ম দিতে পারে। আর সম্ভাব্য আন্দোলন দমন করতেই দেশটির সরকার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার মার্কিন রক্ষণশীল রাজনৈতিক টকশো সঞ্চালক মার্ক লেভিন এক পোস্টে ইলন মাস্কের প্রতি আহ্বান জানান, তিনি যেন ইরানি জনগণের জন্য স্টারলিংক চালু করেন। তার মতে, এতে করে “ইরানি শাসনের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া হবে।” এর কিছুক্ষণ পরই মাস্ক জানান, স্টারলিংক সংযোগ চালু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্টারলিংক হলো স্পেসএক্সের মালিকানাধীন একটি স্যাটেলাইট-নির্ভর ইন্টারনেট পরিষেবা। পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে অবস্থানরত হাজার হাজার ক্ষুদ্র উপগ্রহের মাধ্যমে এটি দুর্বল বা বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেয়।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, ওয়াশিংটন টাইমস
