
পারস্য উপসাগরের উত্তেজনায় এবার বড় সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে ইরান—যা কার্যকর হলে বাংলাদেশসহ জ্বালানি আমদানিনির্ভর দেশগুলো ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়বে।
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক রুট হরমুজ প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল রপ্তানি হয়। সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপুল পরিমাণ জ্বালানি এই পথেই বিশ্ববাজারে পৌঁছায়। এই রুট বন্ধ হলে তেল সরবরাহে বড় ধাক্কা লাগবে, যার প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি নৌপথ বন্ধ হওয়া নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এক ধরনের সুনামি শুরু হওয়ার ইঙ্গিত। আমদানি খরচ বাড়বে, ডলার সংকট বাড়বে, শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হবে—ফলে বাড়বে নিত্যপণ্যের দাম ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ।
ইরান-ইসরায়েল বিরোধের প্রেক্ষাপটে এই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যদিও ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সুসম্পর্কপূর্ণ, তবে বৈশ্বিক তেল সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হলে বাংলাদেশের বাজারেও তার সরাসরি প্রভাব পড়বে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, চীন, ভারত ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্যদিকে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র তুলনামূলকভাবে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হবে।