
ইরান সরকার নিশ্চিত করেছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এই ঐতিহাসিক সমঝোতা বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। প্রাথমিকভাবে ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু করবে, এরপর ইসরায়েল এবং অবশেষে ১২ দিন ধরে চলা সংঘাতের অবসান বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হবে।
মধ্যস্থতাকারী ট্রাম্প Truth Social-এ লিখেছেন, “এই যুদ্ধ বহু বছর চলতে পারত, কিন্তু আমরা শান্তি বেছে নিয়েছি। দুই দেশই দূরদর্শিতা ও ধৈর্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “ঈশ্বর ইরানকে, ঈশ্বর ইসরায়েলকে, ঈশ্বর পুরো মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের মানুষকে রক্ষা করুন।”
এই চুক্তি বাস্তবায়নে কাতারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ট্রাম্পের দপ্তর জানিয়েছে, কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ইরানকে রাজি করানোর কাজে যুক্ত ছিলেন। ট্রাম্প নিজে আমিরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স কূটনৈতিক সমন্বয় করেন।
ঘোষণাটি এসেছে এমন সময়, যখন ইরান কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানার অভিযোগ ছিল। তবে কাতার দ্রুত কূটনৈতিক তৎপরতায় উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনে।
মার্কিন প্রতিনিধি মার্লিন স্টুটসম্যান বলেন, “এই শান্তিচুক্তি একটি ঐতিহাসিক অর্জন। ট্রাম্প নিঃসন্দেহে নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরতি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে স্থিতিশীলতা ও শান্তির সম্ভাবনা তৈরি করেছে।