ফেসবুকের ‘ভিডিও’ থেকে বন্ধ হচ্ছে আয়

ফেসবুকে ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতা ও আয়কারীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে যাচ্ছে মেটার নতুন সিদ্ধান্ত। এখন থেকে আর আলাদাভাবে ভিডিও পোস্ট করা যাবে না—সব ধরনের ভিডিও-ই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘রিলস’ হিসেবে গণ্য হবে। ফলে ফেসবুক ভিডিও প্ল্যাটফর্মে আলাদা মনেটাইজেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মেটা।
সাম্প্রতিক এক ঘোষণায় মেটা জানায়, ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে যে ধরনের ভিডিওই আপলোড করুন না কেন—তা ছোট হোক বা বড়—সবই এখন থেকে রিলস হিসেবেই প্রকাশ পাবে। এর ফলে আলাদা ভিডিও ও রিলসের মধ্যে যে পার্থক্য ছিল, তা বিলুপ্ত হচ্ছে।
নতুন ইউনিফায়েড ভিডিও ইন্টারফেস
মেটা জানিয়েছে, এই পরিবর্তনের মাধ্যমে চালু হচ্ছে একটি ‘ইউনিফায়েড ভিডিও ইন্টারফেস’। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য ভিডিও তৈরি, সম্পাদনা ও শেয়ার করার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে।
আগে রিলস ভিডিওর দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৬০–৯০ সেকেন্ড পর্যন্ত সীমিত ছিল। তবে নতুন নিয়মে এই সীমা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন ব্যবহারকারীরা ৩০ সেকেন্ডের সংক্ষিপ্ত ক্লিপ থেকে শুরু করে ১০ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘ ভিডিও আপলোড করতে পারবেন—তবে সবই রিলস আকারে।
আলাদা ভিডিও মনেটাইজেশন বন্ধ
এই আপডেটের ফলে ফেসবুকে বড় ভিডিও আপলোড করে আয় করার সুযোগ আর থাকছে না। এখন থেকে ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতাদের সব কনটেন্ট রিলস হিসেবেই আপলোড করতে হবে এবং আয়ও হবে শুধুমাত্র রিলস মনেটাইজেশন নীতিমালার আওতায়।
নতুন এডিটিং টুলস আসছে
মেটা আরও জানিয়েছে, নতুন ফিচারের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে উন্নত কিছু ক্রিয়েটিভ টুল ও এডিটিং অপশন। এর মাধ্যমে ভিডিও কাট, ফিল্টার যোগ, টেক্সট ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সংযোজন আরও সহজ হবে। এমনকি প্রযুক্তিগত জ্ঞান ছাড়াও সাধারণ ব্যবহারকারীরা এই ফিচারগুলো ব্যবহার করে সহজে ভিডিও সম্পাদনা করতে পারবেন।
বিশ্লেষকদের মতে, রিলস ও ভিডিও একীভূত করার এই সিদ্ধান্ত ফেসবুকে ভিডিও দেখা ও শেয়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে যারা দীর্ঘ ভিডিও তৈরি করে আয় করতেন, তাদের নতুন এই পরিবেশে মানিয়ে নিতে নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হবে।