নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের চালিতাবাড়িতে সেনাবাহিনীর গোপন অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সক্রিয় সদস্য আসিফ ও শাওন-কে আটক করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর বগুড়া সদর ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট আল ফাহাদ এর নেতৃত্বে বুধবার (২৫ জুন) রাত ১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত টানা অভিযান পরিচালিত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালিতাবাড়ি এলাকায় অবস্থান নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে সেনা সূত্র।
অভিযানে ২৬টি দেশীয় অস্ত্র ও ছিনতাইকৃত ১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র ও মোবাইল ফোনসহ আটককৃতদের বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট আল ফাহাদ বলেন, “অপরাধী যেই হোক, ছাড় নেই। এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।”
স্থানীয়দের মতে, আটক আসিফ ও শাওন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত ছিল। সম্প্রতি এলাকায় চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাং সক্রিয় হয়ে উঠায় স্থানীয়রা আতঙ্কে ছিলেন।
সেনাবাহিনীর এই তৎপরতায় এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে এবং নিয়মিত অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে, ২৩ জুন সন্ধ্যায় বগুড়া সদর থানাধীন শাখারিয়া ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া ও চালিতাবাড়ি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা এখলাস মণ্ডলের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায় এবং ৪-৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
পরদিন যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখলাস বাহিনীর ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে উদ্ধার করা হয় রামদা, চাপাতি, ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরেই এখলাস বাহিনী এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, নির্যাতন ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আধিপত্য বজায় রাখছে। মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানালেও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন তারা।
এ ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান চলমান রয়েছে, এবং অন্যান্য জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
