
নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার অব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বগুড়া সদরের রূপালী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপককে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ৮৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (২৫ জুন) বিকেল ৪টার দিকে শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল ইসলাম ও বগুড়া সদর সেনা ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট আল ফাহাদ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এস এম নূর-ই-শাদী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ক্লিনিকটির লাইসেন্সের মেয়াদ দীর্ঘদিন আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন ধরনের অব্যবস্থাপনা দেখা যায়। এসব অপরাধে রূপালী ক্লিনিককের ব্যবস্থাপক মো. মুঞ্জু মিয়াকে আটক করে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।একই সাথে প্রতিষ্ঠানটিকে ৮৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এ সময় লেফটেন্যান্ট আল ফাহাদ জানান, আজকের অভিযানে যেসব অনিয়ম দেখা গেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রত্যেক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই আইন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার একই এলাকার জমজম হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সরকারি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ফ্রিজে মাংস পাওয়া যায়। পরে ওই প্রতিষ্ঠান সিলগালা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।