লাইফস্টাইল

দেরিতে ঘুমালে কী হয়?

বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনেকেই দেরিতে ঘুমাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ কাজের চাপে, কেউবা মোবাইল বা ল্যাপটপে সময় কাটাতে গিয়ে ঘুমাতে যান গভীর রাতে। কিন্তু এই অভ্যাস শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত দেরিতে ঘুমানোর ফলে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রথমত, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে না গেলে শরীরের দেহঘড়ি বা সার্কাডিয়ান রিদমের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে ঘুমের মান খারাপ হয় এবং শরীর-মন পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না।

দ্বিতীয়ত, ঘুমের ঘাটতি মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি করে। মন খারাপ, উদ্বেগ, একঘেয়েমি, এমনকি অবসাদের মতো সমস্যা বেড়ে যায়। মনোযোগ কমে যায়, সিদ্ধান্ত গ্রহণে জড়তা দেখা দেয় এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়।

তৃতীয়ত, দীর্ঘমেয়াদে ঘুমের ব্যাঘাতে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত দেরিতে ঘুমান, তারা এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।

এ ছাড়া ঘুমের ঘাটতির ফলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে ক্ষুধা বেড়ে যায়। এতে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় এবং ওজন বাড়ে। একই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও কমে যায়, ফলে সহজেই নানা সংক্রমণ হতে পারে।

এই সমস্যাগুলো এড়াতে চাইলে ঘুমানোর রুটিন ঠিক করা জরুরি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া, ঘুমানোর আগে মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার কমানো এবং ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত।

সময়ের আগে ঘুমাতে যাওয়া কেবল একান্ত ব্যক্তিগত অভ্যাস নয়, এটি সুস্থ, সচল ও দীর্ঘস্থায়ী জীবনের জন্য অপরিহার্য। দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস থেকে যত দ্রুত বেরিয়ে আসা যায়, ততই মঙ্গল।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button