বিনোদন

আলাদা থাকার ২ বছর পরও সব ঠিক হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন মিথিলা

তাহসান-মিথিলার প্রায় ১১ বছরের সংসার ভেঙে যায় ২০১৭ সালের অক্টোবরে। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই তারকা দম্পতি। তাঁদের একমাত্র সন্তান আইরা তেহরীম খান। গানের সূত্র ধরেই প্রথম পরিচয়, সেখান থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে প্রেম এবং পরিণয়ে পৌঁছায় সম্পর্কটি।

সম্প্রতি এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে বিচ্ছেদ-পরবর্তী সময়ের কঠিন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তিনি জানান, ২০১৫ সালে তাহসানের সঙ্গে সেপারেশনে যান তিনি। তখনও মনে ছিল, হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০১৭ সালে এসে বুঝতে পারেন, সম্পর্কটি আর টিকছে না।

মিথিলা বলেন, “তখন আমি মানসিকভাবে সেই সময়টা মেনে নিতে পারছিলাম না। ২৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার জীবনকে যেভাবে কল্পনা করেছিলাম, হঠাৎ করে সব বদলে গেল। আমি শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকেছি। আমার একটা ছোট বাচ্চা ছিল, অথচ তখন আমার নিজস্ব কিছুই ছিল না, এমনকি একটা গাড়িও না।”

তিনি আরও বলেন, “আমি তরুণী মা ছিলাম, সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মানসিক শক্তিও ছিল না। ১ বছরের একটি বাচ্চা নিয়ে সামনে কী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় থাকতাম। সেদিন যদি আমার অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকতো, হয়তো তখনই নিজের জন্য কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম।”

মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে মিথিলা বলেন, “মেয়েদের নিজের জায়গা থাকা খুব জরুরি। শ্বশুরবাড়ি বা বাবার বাড়ির ওপর নির্ভর করে থাকা যায় না। থ্যাঙ্কফুলি এখন আমার নিজের জায়গা আছে। মেয়েদের সবার আগে দরকার অর্থনৈতিক স্বাধীনতা—এটা না থাকলে জীবনের অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে।”

বিয়ের পরে তাহসান-মিথিলা একসঙ্গে অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি নাটকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো—‘আমার গল্পে তুমি’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’, ‘ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম’, এবং ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’। এ ছাড়া একাধিক গানে কণ্ঠও দিয়েছেন তারা।

তাদের একসময়কার রঙিন সম্পর্ক আজ অতীত, কিন্তু এই সম্পর্কের ভাঙন ও অভিজ্ঞতা থেকে মিথিলা যে শিক্ষা পেয়েছেন, তা বহু নারীর জন্য হতে পারে অনুপ্রেরণার উৎস।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button