
ক্লাব বিশ্বকাপে পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে নাটকীয় জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা দলটি ইনজুরি টাইমে চাপের মুখে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে। দশজনের দল নিয়েও দুর্দান্ত এই জয় তুলে নেয় লস ব্লাঙ্কোসরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখাতে থাকে রিয়াল। ১০ মিনিটেই গনসালো গার্সিয়া দলের হয়ে প্রথম গোল করেন তরুণ মিডফিল্ডার আরদা গুলারের নিখুঁত ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক ভলিতে। এরপর ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফ্রান গার্সিয়া, তার গোল আসে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের পাস থেকে।
প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ ধরে রাখলেও গোলের দেখা পায়নি। কিন্তু ম্যাচের ইনজুরি টাইমে শুরু হয় নাটকীয়তা। ৯২তম মিনিটে রুডিগারের ভুল ক্লিয়ারেন্সে সুযোগ নিয়ে গোল করেন ডর্টমুন্ডের বেইয়ার।
তবে দুই মিনিট পরেই কিলিয়ান এমবাপ্পে গুলারের পাস থেকে অ্যাক্রোবেটিক ওভারহেড কিকে অসাধারণ এক গোল করে রিয়ালকে ৩-১ এ এগিয়ে দেন।
তবুও ম্যাচের উত্তেজনা কমেনি। কিক-অফের পরপরই রিয়ালের হুইসেন ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন এবং ডর্টমুন্ড পায় পেনাল্টি। সেখান থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৩-২ করেন গুইরাসি।
শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরার সুযোগও পেয়েছিল ডর্টমুন্ড। কিন্তু স্যাবিটাইজারের নেয়া শট কর্নারে ঠেলে দিয়ে দলকে রক্ষা করেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
জয়ের পর রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো বলেন, “সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল, ফলাফলও। কিন্তু শেষ দশ মিনিট ছিল সত্যিই অদ্ভুত। পিএসজির সঙ্গে ম্যাচটা হবে কঠিন, তবে আমরা এই জয় থেকে ইতিবাচক দিকগুলো সঙ্গে নিয়ে পরের ম্যাচের প্রস্তুতি নেব।”
এই ম্যাচে গনসালো গার্সিয়ার এটি ছিল টুর্নামেন্টে চতুর্থ গোল, যা তাকে অন্যতম সেরা উদীয়মান তারকায় পরিণত করেছে।
সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ মুখোমুখি হবে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজির। অন্য সেমিতে লড়বে চেলসি ও ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স।