বগুড়া জেলা
ট্রেন্ডিং

বগুড়ায় ভুয়া ডিবি পরিচয়ে প্রতারণা, ২ প্রতারক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার পৃথক অভিযোগে দুই জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

শনিবার দিবা গত রাত থেকে রোববার ভোরে বগুড়া সদরে এই অভিযান দুটি পরিচালনা করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

পুলিশ বলছে, দুই প্রতারক নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে বেড়াতেন। একজন ওয়াকিটকি, ইলেকট্রিক শক মেশিন নিয়ে ঘিরে বেড়াতেন। অপরজন মোবাইলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশে টাকা নিতেন।

গ্রেপ্তার দুইজন হলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌধুরী পাড়ার মো. শামীম আহম্মেদ (৪৬) এবং সদর উপজেলার সুলতানগঞ্জ পাড়ার মোহাম্মদ তাফসির (২৮)।

পুলিশের কাছে থেকে জানা যায়, বিকাশে লেনদেন করার সুবাদে বগুড়া গোদারপাড়া বাজারের ‘শেরপুর চাউল ঘরের’ মালিক জুবায়ের আহমেদের কাছে মারুফ ইসলামের ৮৬,৫০০ টাকা পাওনা ছিল। এই পাওনা টাকা আদায়ের অজুহাতে শামীম আহমেদ প্রতারণার আশ্রয় নেয়।
গত ২১ জুন সকালে শামীম আহমেদ নিজেকে বগুড়া ডিবি পুলিশের প্রধান শামীম পরিচয় দিয়ে মারুফ ইসলামকে চারমাথা ফিলিং স্টেশনের সামনে ডেকে নেন। সেখানে মারুফকে জুবায়েরের বাকি টাকা দ্রুত পরিশোধ করার জন্য চাপ দেন। মারুফ দুই দিন পর কিছু টাকা পরিশোধ করার কথা বললে, শামীম তার মোটরসাইকেলে ১,০০০ টাকার তেল ভরে নিয়ে চলে যায়।


এরপর গত ২৩ জুন দুপুরে শামিম আবারও মারুফকে চারমাথা ফিলিং স্টেশনের সামনে ডাকে। মারুফ সেখানে পৌঁছালে তার কাছে জুবায়েরের পাওনা ৭৭,০০০ টাকা দাবি করে। মারুফ এই টাকা সরাসরি দোকানদারকে দিতে চাইলে, শামীম তার কাছে থাকা একটি ওয়াকিটকি দেখিয়ে মারুফকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এমনকি মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মারুফের পকেটে থাকা ৪৫,০০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন শামীম।


এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মারুফের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে গোদারপাড়া থেকে শামীম আহমেদকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।


পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের সময় শামীম শামীমের পকেটে একটি ওয়াকিটকি সদৃশ্য বস্তু একটি ইলেকট্রিক শক মেশিন পাওয়া গেছে।

অপর ঘটনা বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ায়। মেহেদী হাসান সাওন নামে এক ভুক্তভোগীর বরাতে পুলিশ জানায়, গত ৫ জুলাই সাওনকে ফোন করে ডিবি অফিসার রেজা পরিচয়ে জানানো হয় তার নামে একাধিক মামলা আছে এবং গ্রেপ্তার এড়াতে বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।


বিষয়টি ডিবি পুলিশকে জানানোর পর, পুলিশের নির্দেশনায় সাওন টাকা সরাসরি দিতে চান। এক পর্যায়ে টাকা নিয়ে সুলতানগঞ্জ পাড়ার নির্দিষ্ট স্থানে সাওন। সেখানে টাকা নিতে আসামাত্র তাফসিরকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে ডিবি টিম। তবে, এ সময় তার ৪-৫ জন সহযোগী পালিয়ে যায়।

বগুড়া জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতোয়ার রহমান বলেন, গ্রেপ্তার দুই প্রতারক দীর্ঘদিন ধরে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এরমধ্যে তাফসিরকে আদালতে চালান করা হয়েছে এবং শামীমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button