
কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে সাগরে নিখোঁজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদের (২২) লাশ একদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নাজিরারটেক সৈকত এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে লাইফগার্ড ও পুলিশ।
আসিফ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে আবাসিক ছিলেন এবং তার বাড়ি বগুড়া জেলার নারুলি দক্ষিণ এলাকায়। তার পিতার নাম মো. রফিকুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিন বন্ধুসহ আসিফ হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নামেন। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ ছিলেন। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমে উদ্ধার হয় এ কে এম সাদমান রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ।
আজ বুধবার সকালে দ্বিতীয় নিখোঁজ শিক্ষার্থী আসিফের লাশ উদ্ধার হয়। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অরিত্র হাসান (২২) নামের আরও একজন শিক্ষার্থী, যিনি বগুড়ার দক্ষিণ ঠনঠনিয়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। অরিত্রও চবি’র একই বিভাগের এবং একই হলের আবাসিক ছাত্র।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বলেন, সাগর অত্যন্ত উত্তাল এবং স্রোতের টানও অনেক বেশি। এই অবস্থায় উদ্ধার অভিযান কঠিন হলেও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি নিখোঁজ অরিত্রকে উদ্ধারে।
সি-সেফ লাইফগার্ড সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আজ সকালে ২০-২৫ বছর বয়সী এক তরুণের মরদেহ ভেসে আসে নাজিরারটেক সৈকতে। তার পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট ও হলুদ হাফপ্যান্ট।
পরে ছবি দেখে মরদেহটি শনাক্ত করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, যিনি জানান, আমি নিশ্চিত হয়েছি এটি আসিফের মরদেহ।তিনি বলেন, আমারও যাওয়ার কথা ছিল। আসিফ নিজেই বলেছিল, টাকার চিন্তা না করে যেতে। শেষ পর্যন্ত ওরাই গেল, আমি যাইনি… আর এখন এমন খবর শুনতে হচ্ছে।