বগুড়া জেলা
ট্রেন্ডিং

ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে কম নম্বর নিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলে হট্টগোল

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে কম নম্বর পাওয়াকে কেন্দ্র করে বগুড়ার একটি কেন্দ্রে হট্টগোলের করেছে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আসায় বগুড়া জিলা স্কুলে এই ঘটনা ঘটে।


শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, বগুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষকরা ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে ৫০ এর মধ্যে শুধু ২৫ নম্বর দিয়েছেন। এতে সামগ্রিকভাবে পরীক্ষার্থীদের ফলাফল কম এসেছে।


তবে এমন অভিযোগ পুরোটাই অস্বীকার করেন বগুড়া জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, কেন্দ্র থেকে নম্বর সঠিকভাবে দেয়া হয়েছে। এখানে কারিগরি ত্রুটির জন্য নম্বর বাদ পড়তে পারে।


শিক্ষকদের কাছে থেকে জানা গেছে, ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়টিতে কোনো লিখিত পরীক্ষা হয় না। এর পরিবর্তে, শিক্ষার্থীদের স্কুল পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজ, প্রজেক্ট তৈরি, উপস্থাপনা, বিতর্ক, কর্মশালা ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে নম্বর মূল্যায়ন করা হয়।


এই ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর বিভাজন থাকে। সাধারণত, ব্যবহারিক কাজের জন্য ২৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে এবং বাকি নম্বরগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংরক্ষণ করে।


বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন এসএসসি পরীক্ষার্থী জানান, ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে তাদের ২৫ নম্বর কম দেয়া হয়েছে। কিন্তু জিলা স্কুলের সবাই এই বিষয়ে ৫০ নম্বর পেয়েছে। আমরা জানতে চাইলে এই স্কুলের শিক্ষকরা বলছেন তারা পুরো নম্বর দিয়েছেন। কিন্তু সেই নম্বর আমাদের দেখাচ্ছেন না তারা।


মনজুরুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষাি দিয়েছে। তার ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে ২৫ নম্বর কম এসেছে। এই নম্বর না দিলে সে টোটাল মার্কসে পিছিয়ে পড়বে। এখানকার শিক্ষকরা বলেছেন তারা পুরো নম্বরই দিয়েছেন। যদি দিয়ে থাকেন তাহলে আমাদের দেখান।


ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক অভিভাবক দাবি জানান, তাদের সন্তানদের ওই বিষয়ে নম্বর ঠিক করে দিতে হবে। একই সাথে নম্বর কেন কম দেয়া হলো তার বিচারের দাবি তোলেন তারা।


বগুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষকরা জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় আটটি স্কুলের ৮৮৩জন পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ছিল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আটটি স্কুল হলো, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, করনোশেন উচ্চ বিদ্যালয়, কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সেন্ট্রাল উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল ও কলেজ, দারুল ইসলাম নৈশ স্কুল, আলোর মেলা হাই স্কুল।


প্রতিটি পরীক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়টিতে পুরো নম্বর দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবে ২৫ নম্বর বাদ পড়েছে। এই কম নম্বর ৮৮৩ জন পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসা কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে সেই নম্বরপত্রও দেখানো হয়। এ জন্য বোর্ডের সাথে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। আগামী রোববারে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।


এ বিষয়ে বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিমা নাসরিন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের পূর্নাঙ্গ নম্বরই দিয়েছি। এটা বোর্ড হোক বা আমাদের এখানে হোক কোনোভাবে ভুল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমরা কাউকে ইচ্ছা করে কম দেইনি। তাহলে সবারই কম আসতো না।


সমাধানের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, যেহেতু আগামীকাল শুক্রবার অফিস বন্ধ, আগামী রোববার ছাড়া উপায় নেই। রোববারে আমরা বোর্ডে কথা বলি। কথা বলে কোনজায়গায় ভুল হয়েছে দেখে সংশোধন করা যাবে। এটাই আমি বলেছি অভিভাবকদের। কিন্তু আমাদের কথা না শুনেই অভিভাবকদের অনেকে উত্তেজিত হয়ে মব সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button