আন্তর্জাতিক খবর

এবার এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেনে আগুন, ৪৮ ঘণ্টায় ৩ বিপর্যয়

ভারতের জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া যেন একের পর এক দুর্ঘটনায় জর্জরিত। সর্বশেষ মঙ্গলবার হংকং থেকে নয়াদিল্লিগামী এআই-৩১৫ ফ্লাইটটি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরই বিমানটির অক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিটে (এপিইউ) আগুন ধরে যায়। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পান যাত্রী ও কেবিন ক্রুরা।

এয়ার ইন্ডিয়ার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যাত্রীদের নামানোর সময়ই এপিইউতে আগুন ধরে যায়। তবে বিমানটির ফায়ার সিস্টেম সঙ্গে সঙ্গেই আগুন শনাক্ত করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে কেউ হতাহত না হলেও বিমানের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এ নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এই ঘটনায় আরও উদ্বেগ তৈরি করেছে এয়ার ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক ধারাবাহিক দুর্ঘটনা। গত ৪৮ ঘণ্টায় এটি ছিল সংস্থাটির তৃতীয় বড় বিপর্যয়।

সোমবার সকালে মুম্বাই বিমানবন্দরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে কোচি থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-২৭৪৪ ফ্লাইটটি। এতে বিমানের চাকা ও ইঞ্জিন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে যাত্রীরা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হন।

একই দিন দিল্লি থেকে কলকাতাগামী একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের সময় ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল। শেষ মুহূর্তে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সেই উড্ডয়ন বাতিল করা হয়।

এর আগেও এয়ার ইন্ডিয়ার ইতিহাসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত ১২ জুন গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের বিমানটি মাত্র ১০০ মিটার ওপরে উঠতেই একটি মেডিকেল ছাত্রাবাসের ওপর আছড়ে পড়ে। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২৭৯ জন, যা ভারতের বিমান ইতিহাসে অন্যতম সবচেয়ে মারাত্মক বলে ধরা হচ্ছে।

পরপর এইসব দুর্ঘটনা এয়ার ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত এবং কাঠামোগত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button