যে বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, তা পাইনি: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াই শুরু করেছিলাম, সেই লড়াই এখনও শেষ হয়নি। যে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, তা পাইনি। মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আবারও শুরু হয়েছে আমাদের লড়াই। এ লড়াইয়ে সবাইকে আবারও শরিক হতে হবে। সারা দেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তারা। আমাদের সতর্ক থেকে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলি, তেমনি মানবাধিকার লঙ্ঘন করলেও তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো। দেশ থেকে মুজিববাদ মুছে ফেলতে হবে। দেশে এখন চাঁদাবাজি, দখলদারত্ব ও দুর্বৃত্তায়নের যে রাজনীতি শুরু হয়েছে, তা আমরা মেনে নেবো না। এই রাজনীতি আমাদের ভেঙে দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে জুলাই পদযাত্রা শেষে হবিগঞ্জ শহরের এম সাইফুর রহমান টাউন হল প্রাঙ্গণে এনসিপির পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম দেশের প্রত্যেক মানুষের মানবাধিকার থাকবে। কোনও সন্ত্রাসীকেও বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হবে না। আমরা মানবাধিকারের পক্ষে থাকবো। কয়দিন আগে দেখেছি বিএনপির কর্মী যুবদলের এক কর্মীকে কীভাবে হত্যা করেছে। আমরা সেই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘হবিগঞ্জবাসী দীর্ঘদিন নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। হবিগঞ্জের মানুষ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। মানুষ এখনও বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। হবিগঞ্জে একটি ভালো হাসপাতাল নেই। জেলার মানুষের উন্নত স্বাস্থ্যসেবার জন্য এখনও যেতে হয় সিলেট ও ঢাকায়। শিক্ষার জন্য একটা বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এ সমস্যাগুলোকে কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতা সমস্যা হিসেবে দেখেননি।’
এর আগে বিকাল ৪টায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা হবিগঞ্জে এসে সার্কিট হাউজে ওঠেন। বিকাল ৫টায় তারা পদযাত্রা শুরু করেন। সার্কিট হাউজ থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হবিগঞ্জের এম সাইফুর রহমান টাউন হল প্রাঙ্গণে পথসভা শুরু হয়।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ও নাহিদা সারোয়ার, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, জ্যেষ্ঠ মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ প্রমুখ।