
বগুড়াসহ দেশের সকল জেলায় এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা ও অন্যান্য মহানগর এলাকায় এই ভর্তি ফি কিছুটা বেশি। তবে অনলাইনে আবেদন ফি সকল এলাকার জন্য ধরা হয়েছে ২২০ টাকা।
গত ২৪ জুলাই চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য এই নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় । এতে বলা হয়, এবারও অনলাইনের মাধ্যমে তিন ধাপে আবেদন গ্রহণ করা হবে এবং সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভেদে।
নীতিমালা অনুযায়ী, এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০ টাকা। শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রমে আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া শিক্ষার্থীপ্রতি ৩৩৫ টাকা নির্ধারিত হয়েছে বিভিন্ন জাতীয় খাতে- যেমন রেজিস্ট্রেশন, ক্রীড়া, রোভার-রেঞ্জার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেড ক্রিসেন্ট এবং শিক্ষক কল্যাণ তহবিল।
বগুড়া জেলার কলেজগুলোয় কত টাকা ফি নেওয়া যাবে?
নীতিমালা অনুযায়ী, বগুড়াসহ অন্যান্য জেলায় কলেজগুলোকে তাদের অবস্থান ও এমপিওভুক্ত অবস্থার ভিত্তিতে নিচের সর্বোচ্চ সীমার মধ্যে ভর্তি ফি নিতে বলা হয়েছে:
এমপিওভুক্ত কলেজ (সরকারি ও স্বীকৃত বেসরকারি):
জেলা শহর (বগুড়া সদর):
সর্বোচ্চ ভর্তি ফি: ২,০০০ টাকা
উপজেলা/মফস্বল এলাকা:
সর্বোচ্চ ভর্তি ফি: ১,৫০০ টাকা
নন-এমপিওভুক্ত কলেজ:
জেলা শহর (বাংলা ভার্সন):
সর্বোচ্চ: ৩,০০০ টাকা
জেলা শহর (ইংরেজি ভার্সন):
সর্বোচ্চ: ৪,০০০ টাকা
উপজেলা বা মফস্বল (বাংলা ভার্সন):
সর্বোচ্চ: ২,৫০০ টাকা
উপজেলা বা মফস্বল (ইংরেজি ভার্সন):
সর্বোচ্চ: ৩,০০০ টাকা
শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ৩৩৫ টাকা। জাতীয় খাতের চার্জ বাদ দিয়ে প্রতিটি কলেজ কেবলমাত্র উল্লেখিত ভর্তি ফি-ই নিতে পারবে।
খাতগুলো হলো- রেজিস্ট্রেশন ফি ১৪২ টাকা, ক্রীড়া ফি ৫০ টাকা, রোভার বা রেঞ্জার ফি ১৫ টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি ১৬ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি ৭ টাকা, বিএনসিসি ফি ৫ টাকা এবং শিক্ষক কল্যাণ তহবিল ও অবসর সুবিধা ভাতা ফি ১০০ টাকা।
যদি কোনো এমপিওভুক্ত কলেজ বগুড়ায় মফস্বলে অবস্থিত হয়, তাহলে সর্বোচ্চ:
১,৫০০ + ৩৩৫ = ১,৮৩৫ টাকা নিতে পারবে।
কোনো অবস্থায় নীতিমালার বাইরে অতিরিক্ত ফি নেয়া যাবে না। এই নীতিমালার ব্যতয় হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে শিক্ষা বোর্ডে।
যদি কোনো কলেজ নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি ফি দাবি করে, শিক্ষার্থী বা অভিভাবক সরাসরি বোর্ড বা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
গত ১০ জুলাই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী। তবে সারাদেশে কলেজ, মাদরাসা, পলিটেকনিক ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য আসন রয়েছে সাড়ে ৩৩ লাখ। সেই হিসাবে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পরও আসন শূন্য থাকবে প্রায় ২০ লাখ।