
কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাংলাদেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাদুঘরের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাবেক সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, অর্গানোগ্রামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেবল কেন্দ্রীয় কমিটি বহাল থাকবে; সারা দেশের অন্য সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
রিফাত রশিদ অভিযোগ করে বলেন, পরাজিত শক্তি বৈষম্যবিরোধী ব্যানারকে ব্যবহার করে নানাভাবে এই প্ল্যাটফর্মকে কলুষিত করছে। অনৈতিক কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে। সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়।
পুলিশ রিয়াদসহ চারজনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে। রিমান্ডের জন্য আবেদন করা অন্যরা হলেন—সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৭ জুলাই সকালে রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে হুমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। পরে বাদী সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ভাইয়ের কাছ থেকে আরও পাঁচ লাখ টাকা দেন।
১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিয়াদ ও অপু আবারও বাদীর বাসায় গিয়ে দরজায় জোরে ধাক্কা দেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে জানালে তারা সরে যায়।
মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। রিয়াদ ছাড়াও অন্যরা হলেন—কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও আইন অমান্যকারী শিশু মো. আমিনুল ইসলাম।