
জলবায়ু পরিবর্তন, চোরা শিকার, খাদ্যসংকট এবং টেকসই পদক্ষেপের অভাবে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার আজ অস্তিত্বসংকটে পড়েছে। গত দুই দশকে নানা প্রতিকূলতা বাঘের টিকে থাকার লড়াই আরও কঠিন করে তুলেছে বলে পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ ২৯ জুলাই বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য— ‘মানুষ-বাঘের সুরেলা সহাবস্থান’, যার মাধ্যমে বাঘের বংশবৃদ্ধি ও সংরক্ষণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হচ্ছে।
প্রতি বছর এই দিনে বাঘের প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা ও সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরতেই দিবসটি পালন করা হয়। ২০২৪ সালের বাঘ জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫টি। আগের শুমারিগুলোর তুলনায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। ২০১৫ সালে বাঘ ছিল ১০৬টি এবং ২০১৮ সালে ১১৪টি।
সাম্প্রতিক জরিপে আরও দেখা গেছে, এবার ২১টি বাঘশাবকের ছবি পাওয়া গেছে, যেখানে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে মাত্র ৫টি বাঘশাবকের চিত্র ধরা পড়েছিল।
সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, “সুন্দরবনের বাঘ পাচারের পেছনে আন্তর্জাতিক চক্র সক্রিয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বন বিভাগের নিয়মিত অভিযানের পরও পাচার পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।”
বাঘ সংরক্ষণে জনসচেতনতা বাড়ানো, আন্তর্জাতিক পাচার প্রতিরোধ এবং সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।