জিমেই হার্ট অ্যাটাক! সতর্ক না হলে বিপদ, ঝুঁকিতে যারা

ব্যান্ড সংগীতশিল্পী এ কে রাতুল জিমে শরীরচর্চার সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। সুস্থ হৃদ্পিণ্ড গঠনের জন্যই যেখানে ব্যায়ামের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা, সেখানে এ ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—শরীরচর্চা কি সব সময় নিরাপদ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, জিমে বা যেকোনো ভারী ব্যায়ামের সময় হৃৎপিণ্ডকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় এবং হৃৎপিণ্ডের গতি দ্রুত হয়। কেউ যদি আগে থেকেই অজানা হৃদ্রোগে ভোগেন, তখন অতিরিক্ত চাপ হৃৎপিণ্ড থামিয়ে দিতে পারে।
কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে?
- যাদের আগে থেকে হৃদ্রোগ রয়েছে, এমনকি যদি তা ধরা না পড়ে।
- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি।
- ধূমপানকারীরা।
- অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা এনার্জি ড্রিংক গ্রহণকারী।
- পরিবারে হৃদ্রোগের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
- পানিশূন্যতা বা লবণের ঘাটতিও হতে পারে ঝুঁকির কারণ।
সতর্কতা ও করণীয়:
- বয়স বা বাহ্যিক সুস্থতা দেখে জিম শুরু করা উচিত নয়। ভারী ব্যায়ামের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- ব্যায়ামের শুরুতে হালকা অনুশীলন করুন, ধীরে ধীরে বাড়ান তীব্রতা।
- ব্যায়ামের আগে ওয়ার্মআপ এবং শেষে কুল ডাউন করুন।
- চা, কফি, চকলেট এবং এনার্জি ড্রিংক এড়িয়ে চলুন।
- নিয়মিত পানি পান করুন। অতিরিক্ত ঘামের সময় ইলেকট্রোলাইট বা লবণপানি খাওয়া যেতে পারে।
জিম বাছাইয়ে সচেতনতা:
সেই জিমে ব্যায়াম করুন, যেখানে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দিতে পারদর্শী ট্রেনার থাকেন। এ কৌশল শিখে রাখা জীবন বাঁচাতে পারে।
শরীর গঠনের আগে হৃদ্পিণ্ডের যত্ন নিন। হৃদয় বাঁচিয়ে গড়ুন সুস্থ জীবন।