স্বাস্থ্য

মোবাইল ফোন ব্যবহারে ব্রেন ক্যান্সারের ঝুঁকি! যা জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে ব্রেন ক্যান্সার বা অন্যান্য টিউমারের কোনো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সম্পর্ক নেই। সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিস্তৃত মেটা-অ্যানালাইসিসে এ তথ্য উঠে এসেছে, যেখানে গত ২৮ বছরে ২২টি দেশের ৬৩টি গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

গবেষণায় মোবাইল ফোন, সেল টাওয়ার, কর্মস্থলের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি-ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড (আরএফ-ইএমএফ) নির্গত যন্ত্রপাতি এবং টেলিকমিউনিকেশন সরঞ্জামের প্রভাবে ব্রেইন, পিটুইটারি, লিউকেমিয়া ইত্যাদি ক্যান্সারের ঝুঁকি পরীক্ষা করা হয়।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে গ্লিওমা, মেনিনজিওমা, অ্যাকুস্টিক নিউরোমাস, পিটুইটারি বা স্যালিভারি গ্রন্থির ক্যান্সার এবং লিউকেমিয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি।

গবেষণার প্রধান লেখক ড. কেন কারিপিডিস বলেন, “মানবভিত্তিক গবেষণায় এক্সপোজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত না হলেও এতসব গবেষণার সম্মিলিত ফলাফল নিশ্চিত করে যে, মোবাইল ফোন ব্যবহার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় না।”

বিশেষজ্ঞরা জানান, আগের কিছু গবেষণায় যেসব শঙ্কার কথা বলা হয়েছিল, নতুন বৃহৎ পরিসরের গবেষণাগুলো তা নাকচ করে দিয়েছে।

শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে ব্রেইন টিউমারের ঝুঁকি নিয়েও অনেক অভিভাবকের মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও WHO-এর এই পর্যালোচনায় নিশ্চিত করা হয়েছে, এমন যন্ত্রপাতির সংস্পর্শে শিশুর ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও নেই।

একইভাবে কর্মক্ষেত্রে রাডার বা টেলিকম সরঞ্জামের ব্যবহার নিয়েও বড় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রমাণ মেলেনি। তবে গবেষকেরা বলেছেন, প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির কারণে ভবিষ্যতেও এ বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া জরুরি।

ড. কারিপিডিস বলেন, “নতুন প্রযুক্তিতে ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও তরঙ্গ ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই এসব তরঙ্গও নিরাপদ কিনা, তা নিশ্চিত করতে গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে।”

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button