প্রতিদিন কেন মৃত্যুকে স্মরণ করতে হবে

মৃত্যু একটি অনিবার্য সত্য, যা থেকে কেউই রেহাই পাবে না। মানুষ যতই প্রযুক্তিতে উন্নত হোক বা যতই দীর্ঘায়ু হোক না কেন, মৃত্যুর বাস্তবতা অতিক্রম করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিন মৃত্যুকে স্মরণ করা শুধু একটি ধর্মীয় নির্দেশনা নয়, বরং মানসিক, আত্মিক ও নৈতিকভাবে নিজেকে গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ চর্চা।
আত্মশুদ্ধির পথ খুলে দেয়
মৃত্যুকে মনে রাখলে মানুষ নিজের গুনাহ, ভুল ও দুর্বলতার কথা সহজে উপলব্ধি করতে পারে। এতে আত্ম-উন্নয়ন ও চরিত্র গঠনের জন্য সচেতনতা তৈরি হয়। ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিখে।
অহংকার কমায়
জীবনে অনেকেই অর্থ, পদ, খ্যাতি নিয়ে গর্ব করে। কিন্তু মৃত্যুর কথা স্মরণ করলে উপলব্ধি হয়, এসব কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এই চেতনা মানুষকে নম্র ও বিনয়ী হতে সাহায্য করে।
পাপ থেকে বিরত রাখে
যে ব্যক্তি প্রতিদিন মৃত্যুর কথা মনে করে, সে সহজে অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে পারে না। সে বুঝে, একদিন সব কিছুর হিসাব দিতে হবে। ফলে সে ভালো কাজের দিকে মনোযোগী হয়।
সময়ের সঠিক ব্যবহার শেখায়
মৃত্যুর কথা মনে রাখলে সময়ের গুরুত্ব বোঝা যায়। মানুষ অলসতা ও সময় নষ্ট না করে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপকারে লাগানোর চেষ্টা করে।
আখিরাতের প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে
যারা মৃত্যু নিয়ে চিন্তা করে, তারা কেবল এই দুনিয়ার জন্য নয়, পরকালের জন্যও প্রস্তুতি নিতে সচেষ্ট হয়। তারা নামাজ, দান, ভালো ব্যবহারসহ সব ভালো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হয়।
মৃত্যু কোনো ভয়ের বিষয় নয়, বরং এটি হলো চিরস্থায়ী জীবনের দিকে যাত্রার প্রস্তুতির স্মারক। প্রতিদিন মৃত্যুকে স্মরণ করলে মানুষ নিজের অবস্থান, কর্ম ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। এভাবেই জীবন হয় শান্তিময় ও অর্থবহ।